বড়র হতাশা, ছোটর প্রাপ্তি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩গেল সপ্তাহেরই ঘটনা৷ প্রায় দু'বছর অসু্স্থতা আর চোটের জন্য টেনিসের বাইরে থাকার পর, সম্প্রতি আবার কোর্টে ফিরেছেন ভেনাস উইলিয়ামস৷ উইলিয়ামস পরিবারের বড় বোন খেলছেনও চমৎকার৷ গত অক্টোবরে কেরিয়ারের সর্বশেষ শিরোপা জেতা মেয়েদের টেনিসের এই সাবেক নাম্বার ওয়ান একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়ে বসেছিলেন৷ ক্যানাডার ইউজিনি বুশারের বিপক্ষে প্যান প্যাসিফিক ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর একটা সার্ভ ছুটে যায় ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার (১২৯ দশমিক ৯ মাইল) গতিতে! সবাই ভেবেছিলেন মেয়েদের টেনিস ইতিহাসে দ্রুততম সার্ভের বিশ্বরেকর্ড নতুন করে লেখা হয়ে গেছে৷ কিন্তু ৩৩ বছর বয়সি ভেনাসের দুর্ভাগ্য, প্রতিযোগিতায় যে যন্ত্রটি দিয়ে গতি মাপা হয়েছে সেটা অনুমোদিত নয় বলে আগের রেকর্ডটাকেই বিশ্বরেকর্ড হিসেবে মানার ঘোষণা দিয়েছে ডাব্লিউটিএ৷ তাতে ভেনাসের অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি৷ ২০০৮ সালে উইম্বলডনে ঘণ্টায় ২০৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার বেগের একটা সার্ভ দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল৷ সেই সার্ভটাও ছিল ভেনাসের এবং সেটাই এখনো বিশ্বরেকর্ড৷
ওই একটা জায়গাতেই ভেনাসের চেয়ে পিছিয়ে আছেন সেরেনা উইলিয়ামস৷ সবচেয়ে বেশি গতির সার্ভটা বড় বোনের নামের পাশে দেখেই অভ্যস্ত তিনি৷ তবে দুই বোনের মধ্যে প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয়ের কৃতিত্বটা যেমন তাঁর, তেমনি আরো অনেক প্রাপ্তিতেই সেরেনা ছোট হয়েও যোজন যোজন এগিয়ে৷ ভেনাস কেরিয়ারে সব মিলিয়ে জিতেছেন ৪৪টি একক শিরোপা, সেখানে গ্র্যান্ডস্লাম একক শিরোপা সাতটি ; সেরেনার ৫৫টি একক শিরোপার মধ্যে ১৭টিই এসেছে গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট থেকে৷ এ বছরটাও দুর্দান্ত কাটছে সেরেনার৷ তিনমাস বাকি থাকতেই জিতে নিয়েছেন দুটি গ্র্যান্ডস্লামসহ মোট নয়টি শিরোপা৷ তার ফলে যা হবার তা-ই হয়েছে৷ সর্বশেষ ব়্যাংকিং থেকে এটা সবার বোঝা হয়ে গেছে যে, এ বছর যে যত চেষ্টাই করুক, বিশ্বসেরার জায়গাটি থেকে সেরেনাকে আর সরানো যাবে না৷ অর্থাৎ আগামী তিন মাস যদি বাড়িতে শুয়েবসেও কাটান তিনি, তারপরও মেয়েদের টেনিসে ‘নাম্বার ওয়ান' হিসেবেই বছর শেষ করবেন সেরেনা উইলিয়ামস!
এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)