‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছিল রাজনৈতিক প্রয়োজনে’
২৭ মে ২০১১সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যতটা না সাংবিধানিক তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক৷ তার মতে আদালত তা বাতিল করলেও সংবিধান সংশোন কমিটি তা রাজনৈতিকভাবেই বিবেচনা করবে৷ কারণ রাজনৈতিক প্রয়োজনেই এই ব্যবস্থা এসেছিল৷ আর সুশীল সমাজের মধ্যে এই ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে মিশ্র মত রয়েছে৷
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল বা সংশোধনে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন৷ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাদের দু'জন এমপিকেও সংবিধান সংশোধন কমটিতে রাখা হয়েছে৷ তারা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মতামত না দিয়ে বাইরে বসে সমালোচনা করছেন৷ কিন্তু তারা মতামত দিলে তা যে গ্রহণ করা হবেনা তা কি করে বুঝলেন৷
এদিকে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকা উচিত না৷ কারণ এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিপন্থী৷ একই রকম অভিমত দিয়েছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ তবে অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরো সহনশীলতা এবং গুণগত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ আর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মত হল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সময় আসেনি৷ আগামী ২টি জাতীয় নির্বাচনের পরও এই ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷
সব মিলিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আদালতের রায় যাই থাকুকনা কেন সরকার এই ব্যবস্থা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলসহ সাধারন মানুষের মনোভাব বুঝতে চায়৷ তারপরই সিদ্ধান্ত হবে এই ব্যবস্থা থাকবে কিনা৷
প্রতিবেদন: হারন উর রশীদ স্বপন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক