ক্যানাডার উৎসবে সেরা ছবির পদক পেল ‘জাপানি বধূ’
৭ নভেম্বর ২০১০ইংরেজি, বাংলা এবং জাপানি তিন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে ছবি ‘জাপানি বধূ'৷ তুলে ধরা হয়েছে এক গ্রাম্য স্কুল শিক্ষকের চরিত্র৷ তরুণ গ্রাম্য শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাহুল বোস৷ কাহিনীতে দেখানো হয় যে, ভারতীয় এই শিক্ষক এক জাপানি বান্ধবীকে বিয়ে করেন৷ জাপানি কলম বন্ধুর চরিত্রে আছেন জাপানি অভিনেত্রী চিগুসা তাকাকু৷ চিঠির মাধ্যমে দু'জনের ভালোবাসা এতোটাই প্রবল হয় যে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়৷ বিয়েটা অবশ্য শুধু পত্রের মাধ্যমেই৷ এমনকি দু'জনের মধ্যে বাস্তবে কখনও সাক্ষাৎ না ঘটলেও স্কুল শিক্ষক তাঁর জাপানি বধূর প্রতি আমৃত্যু রয়েছেন পুরোপুরি অনুগত ও বিশ্বস্ত৷
বোস ছাড়াও ছবিটিতে রয়েছেন রায়মা সেন এবং মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়৷ ছবিটি ২০০৮ সালের অক্টোবরে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজারে আসে এ বছরের ৯ এপ্রিল৷ উৎসবের পরিচালক নিরু ভাটিয়া ছবিটিকে ‘সেলুলয়েডে প্রেম কবিতা' বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মূল্যবান পাথরে প্রেম কবিতা হিসেবে পরিচিত তাজ মহল, কিন্তু আপনারা যদি সেলুলয়েডে প্রেম কবিতা দেখতে চান তবে অপর্ণা সেনের ‘জাপানি বধূ' ছবিটি দেখতে হবে৷''
উত্তর আমেরিকায় বাংলা ছবির বাজার সৃষ্টির জন্য খ্যাত ডাটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার্স এর প্রধান অনি সিল বলেন, ‘‘উৎসবে ছবিটি বেশ সুনাম কুড়াবে তা জানতাম কিন্তু এটা যে উপস্থিত দর্শকদের ৯২ শতাংশ ভোট পাবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি৷'' রাহুল বোস তাঁর ছবির ভক্ত দর্শকদের উদ্দেশ্যে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ক্যালগ্যারি উৎসবে ‘জাপানি বধূ'র পদক জয়ে আপনাদের অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ জানাই৷ অপর্ণাকেও পৌঁছে দেব আপনাদের অভিনন্দন৷''
যাহোক, পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে চিত্তাকর্ষক আমোলাইট ট্রফি৷ এটি তৈরি আলব্যার্টা প্রদেশের সরকারি জেমস্টোন দিয়ে যা প্রায় ৬০ হাজার বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম