1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোণঠাসা ওবামা, ইসরায়েলি-সৌদি ঐক্য

৭ আগস্ট ২০১৫

ইরান-চুক্তির প্রতি নিজের ডেমোক্র্যাটিক দলের সংসদ সদস্যদের সমর্থন পেতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ অন্যদিকে ইসরায়েল ও সৌদি আরব এই প্রশ্নে একজোট হয়ে ওবামার বিরোধিতা করছে৷

https://p.dw.com/p/1GBVt
Klimaziele US-Präsident Barack Obama
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Reynolds

আজকের বিশ্বে যেখানে প্রায় কোনো প্রশ্নেই প্রধান শক্তিদের মধ্যে ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না, সেখানে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং জার্মানি একজোট হতে পেরেছে৷ এটাই একটা ঐতিহাসিক ঘটনা৷ প্রায় গোটা বিশ্ব এই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ শুধু ইরানের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই আঞ্চলিক শক্তি – ইসরায়েল ও সৌদি আরব এর প্রবল বিরোধিতা করে চলেছে৷ সেই ঢেউ মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপরেও বিশাল প্রভাব ফেলছে৷ শুধু বিরোধী রিপাবলিকান দল নয়, প্রেসিডেন্ট ওবামার ডেমোক্র্যাটিক দলের বেশ কিছু সদস্যও সংসদে ইরান চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন৷ তাঁদের মতবদল করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ওবামা প্রশাসন৷ চুক্তির পক্ষে ও বিপক্ষে যুদ্ধ চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও৷

সহজ ভাষায় ইরান চুক্তির গুরুত্ব ও এর বিরোধিতা তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷

যাঁরা এই চুক্তির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাঁদের জন্যও হোয়াইট হাউস আলাদা ব্যবস্থা করেছে৷

হাত গুটিয়ে বসে নেই বিরোধী শিবিরও৷ দুই শিবিরের সংসদ সদস্যরাই যে যার নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরছেন৷

অন্যান্য টুইটার ব্যবহারকারীরাও ইরান চুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে মত রাখছেন এবং নিজের বক্তব্যের সমর্থনে নানা প্রতিবেদন শেয়ার করছেন৷ যেমন কেসি মিলার প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে লিখেছেন, শুধু ওবামা নয় বিশ্বের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা যখন এই চুক্তির পক্ষে তখন সেনেটার চাক শুমার-এর উচিত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কোনো লেকের জলে ঝাঁপ মারা৷

আরও একজন সেনেটার শুমার-এর বিরোধিতা করে লিখেছেন, ইরাক, স্বাস্থ্য বিমা, ইরান চুক্তি – সব ক্ষেত্রেই তিনি ভুল করে আসছেন৷ কোনো মতেই তাঁর ডেমোক্র্যাটিক দলের সেনেট নেতা হওয়া উচিত নয়৷

মার্কিন রাজনৈতিক লেখক জোয়েল সি রোজেনবার্গ ইরান-চুক্তির বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷

ইরান চুক্তির বিরোধিতার ঢেউ এমন দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তুলছে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় কল্পনাও করা যেত না৷ ইসরায়েল ও সৌদি আরব এখন প্রকাশ্যে একে অপরের অবস্থানের প্রতি সমর্থন দেখাতে শুরু করেছে৷ ইসরায়েলি কূটনীতিক গ্যারি কোরেন এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিবের বক্তব্য তুলে ধরেছেন বেন মিমে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য