1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্জেন্টিনার রাজধানীতে শোভা পাচ্ছে বইয়ের টাওয়ার

১২ মে ২০১১

শহরের শোভা বাড়াতে কত রকম চমকই না দেখা যায়৷ বই-পাগল মানুষের শহর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস'এ এবার তৈরি করা হয়েছে বইয়ের এক টাওয়ার৷

https://p.dw.com/p/11E1a
বই-পাগল মানুষের দেশ আর্জেন্টিনাছবি: DW

বিভিন্ন ভাষায় লেখা হাজার হাজার বই৷ আর্জেন্টিনার শিল্পী মার্তা মিনুহিন গড়ে তুলেছেন প্রায় ২৫ মিটার উঁচু এই শিল্পকর্ম, যার নাম রাখা হয়েছে ‘টাওয়ার অফ ব্যাবেল'৷ টাওয়ারের প্রায় ৩০,০০০ ‘ইঁট' বা বই দান করেছেন সাধারণ পাঠক, লাইব্রেরি ও বিভিন্ন দূতাবাস৷ ১০ দিন লেগেছে বইয়ের এই টাওয়ার তৈরি করতে৷ ইউনেস্কো চলতি বছর বুয়েনস আইরেস'কে আন্তর্জাতিক বইয়ের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ সেই উপলক্ষেই এই আয়োজন৷

Frankfurter Buchmesse FLASH-Galerie
২০১০ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অতিথি দেশ ছিল আর্জেন্টিনাছবি: AP

বইয়ের স্তূপ নয় – সিঁড়ি দিয়ে ৭ তলা উঁচু ধাতুর এই কাঠামোর মধ্যেও প্রবেশ করতে পারেন দর্শকরা৷ চারিদিকে সংগীতের আবহ, যার সুর দিয়েছেন মিনুহিন নিজেই৷ তারই মাঝে থেকে থেকে মিনুহিন'এর কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে ‘বই' শব্দটি, একাধিক ভাষায়৷ চলতি মাসের শেষে যখন প্রদর্শনী শেষ হয়ে যাবে, তখন বইপ্রেমী মানুষ এসে নিজেদের পছন্দের বই নিয়ে যেতে পারবেন৷ বাকি বইগুলি নিয়ে তৈরি হবে এক গ্রন্থাগার, যার নাম রাখা হবে ‘লাইব্রেরি অফ ব্যাবেল'৷ আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বিখ্যাত লেখক খর্খে লুইস বর্খেস এই নামেই একটি বই লিখেছিলেন৷

বই নিয়ে এমন চমকপ্রদ শিল্পকর্ম এর আগেও তৈরি করেছেন মার্তা মিনুহিন৷ ১৯৯৩ সালে বিখ্যাত অ্যামেরিকান শিল্পী অ্যান্ডি ওয়ারহল'এর সঙ্গে বই দিয়ে গ্রিসের পার্থেনন মন্দিরের আদলে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করেছিলেন৷ সামরিক শাসকরা যেসব বই নিষিদ্ধ করেছিল, সেই সব বই দিয়েই এই মন্দির তৈরি হয়েছিল৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য