আবারো হরতাল
২৯ মে ২০১৩চলতি বছরে মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল হয়েছে মোট ৩২ দিন আর এ সময় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৯ জন৷ এছাড়া, হরতালের সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরো ১,৫৭৪ জন৷ তবে হরতালের বাইরে রাজনৈতিক সহিংসতা মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৯২ জন৷ আর আহত হয়েছেন ৩,৪০০ জন৷
এর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতির হিসেব করলে তা কয়েক হাজার কেটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে৷ এত ক্ষতির পরও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণ নেই৷ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শাসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে বলেন, তারাও হরতাল দিতে চান না৷ হরতালে মানুষের কষ্ট হয়৷ কিন্তু এছাড়া তাদের কোনো পথ নেই৷ সরকারই যে তাদের বাধ্য করছেন হরতাল দিতে৷ শুধু তাই নয়, সরকার তাদের সভা-সমাবেশও করতে দিচ্ছে না ৷
এর জবাবে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, বিরোধী দল বিএনপিকে সরকার অতীতে কোনো সভা-সমাবেশ করতে বাধা দেয়নি৷ কিন্তু তারা রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সহিংসতা শুরু করেছে৷ মৌলবাদী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে৷ সরকার সেটা হতে দিতে পারে না৷ তিনি বলেন, বিএনপির হরতালে দেশের মানুষের সমর্থন নেই৷ তারা সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে মানুষকে হরতালের নামে গৃহবন্দি রাখতে চাইছে৷ সরকারের দায়িত্ব যেমন নাগরিকদের জানমালের নিরপত্তা দেয়া, তেমনি বিরোধী দলেরও দায়িত্ব নাগরিকদের ক্ষতির কারণ হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দেয়া৷
এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার বা বিরোধী দল কেউই সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝতে চায়না৷ তারা বুঝতে চায় ক্ষমতা৷ কিন্তু সাধারণ মানুষকে পিষ্ট করে ক্ষমতার এই রাজনীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি বলেন, বিরোধী দলকে অবশ্যই হরতালের বিকল্প খুঁজতে হবে৷ আর সরকারকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে৷ জনগণকে নিরপাদ রাখা সরকার এবং বিরোধী দল উভয়েরই দায়িত্ব, বলেন তিনি৷