1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার সঙ্গে বৈঠক বাতিল

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৭ মে ২০১৩

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েল্ডি শারমনের সঙ্গে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক হয়নি৷ তবে বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/18ehV
Bangladesh Nationalist Party (BNP) Chairperson Begum Khaleda Zia speaks during a rally before a mass procession in front of their party office in Dhaka January 30, 2012. The main opposition Bangladesh Nationalist Party, BNP and its alliance rescheduled its mass procession demanding the restoration of the caretaker government system, after police banned rallies and processions in the capital and four other cities on Saturday amid fears of violent clashes between the rival parties, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারি সংলাপে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেন মার্কিন পররষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েল্ডি আর শারমেন৷ সংলাপের দিনই প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে৷ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায় যে, এর ফলে শারমেনকে তাঁর সফর সূচিতে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়৷ এ কারণেই তিনি সোমবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন৷ অথচ বিকেলে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরের সময় হরতালের কারণে তাঁর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছিলেন খালেদা৷

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে শারমেন এক সংবাদ সম্মেলেনে তাঁর ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই বিরোধী দল হরতাল দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন৷ বলেন, হরতালের কারণে সফরসূচিতে বিভ্রাট ঘটায় তিনি রিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না৷ তবে আশা করেন ভবিষ্যতে দেখা হবে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশে হরতালসহ যে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চলছে তাতে বাংলাদেশের ধারেবাহিক সাফল্য ধরে রাখা যাবে কিনা – তা নিয়ে সংশয় আছে৷ তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে নির্বাচনপূর্ব সহিংসা বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সহিংসতা বন্ধ করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে৷

বাংলাদেশে সহিংসতা এবং বার বার হরতালের পরও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে না নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন শারমেন৷ তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া কোনো সমাধান নয়৷

তিনি বলেন, তবে এই সংহিসতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিকে স্লথ করে দিচ্ছে৷ তাঁর মতে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কখনো সহিংসতা হতে পারেনা৷ আর মত প্রকাশকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না৷

শারমেন জানান, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারি সংলাপে টিকফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ তবে টিকফা চুক্তি কবে নাগাদ সই হতে পারে, তা জানাতে পারেননি তিনি৷ তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা নিয়ে আগামী মাসে সিদ্ধান্ত হতে পারে৷ অবশ্য তৈরি পোশাক এই সুবিধা পাবে কিনা সে ব্যাপারে আগাম কিছু বলেননি তিনি৷ তবে তিনি বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান৷ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং সেখানকার ক্রেতারা শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকারকে গুরুত্ব দেয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য