৭৮ পাউন্ড পশম ফেলে ‘দৈত্য’ থেকে ভেড়া
প্রথমে বারাককে দেখে মনে হচ্ছিল যেন ছোটখাটো এক দৈত্য৷ ইয়েতিও মনে হয়েছিল কারো কারো কাছে৷ অথচ বারাক আসলে ভেড়া৷নিজের পশমের ওজনেই প্রায় মরতে বসেছিল সে৷ দেখুন ছবিঘরে...
হঠাৎ দেখা
সেদিন অস্ট্রেলিয়ার এক জঙ্গলে হঠাৎ এই রূপে দেখা যায় বারাককে৷ দেখে বোঝার উপায় আছে, এমন পশমের পাহাড়ের আড়ালে আসলে কোন প্রাণী লুকিয়ে? পশমে ঢেকে গেছে চোখ৷ প্রায় না দেখে এত ধীর পায়ে হাঁটছিল যে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, শরীর মোটেই ভালো নেই৷
কেন এই অবস্থা?
বারাক বনের ভেতরে কত বছর যে একা একা ঘুরেছে কে জানে! তবে সঙ্গে নানা ধরনের ময়লা এবং কীট নিয়ে পাহাড় হয়ে থাকা পশম দেখে বোঝা যাচ্ছিল, অনেক বছর লোকালয়ের দেখা পায়নি৷
স্বেচ্ছাসেবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ
যখন বোঝা গেল, পশমের আড়ালের প্রাণীটি আসলে ভেড়া, খবর দেয়া হলো অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ল্যান্সফিল্ড শহরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন এডগার’স মিশনকে৷বন্য প্রাণিসেবায় নিয়োজিত সংগঠনটির কর্মীরা বুঝতে পারেন বাঁচাতে হলে ভেড়াটির গা থেকে সব পশম বা রোম ফেলতে হবে ঝটপট৷
‘দৈত্য’ থেকে ভেড়া
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বারাকের গায়ের সব পশম কেটে ফেলে এডগারস মিশনের কর্মীরা৷ কাজটা কিন্তু সহজ ছিল না মোটেই৷ ৭৮ পাউন্ড বা ৩৫ কেজি পশম ছেঁটে ফেলা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়!
স্বাভাবিক শরীর সুস্থ জীবনের অপেক্ষা
পশম কাটার পর শুরু হয়েছে বারাকের আসল চিকিৎসা৷ দীর্ঘদিন পশম কাটা, গোসল ইত্যাদি না হওয়ায় ঘায়ে ভরে গেছে শরীর৷চলছে ঘা সারানোর চিকিৎসার পাশাপাশি স্নানাহারও চলছে নিয়মিত৷