1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৬ মাস আটকে রাখার পর শিয়াউবোয়াকে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তার

২৪ জুন ২০০৯

চীনের বিরুদ্ধবাদী লেখক ও মানবাধিকারবাদী লিউ শিয়াউবোয়াকে ৬ মাসেরও বেশি সময় আটকে রাখার পর আজ বুধবার চীনের পুলিশ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করেছে৷

https://p.dw.com/p/IaY9
ছবি: Reporter ohne Grenzen

তিনি নাকি চীনা রাষ্ট্রকে উৎখাত করার চেষ্টায় জড়িত ছিলেন, এরম অভিযোগই আনা হয়েছে আন্তর্জাতিক পেন ক্লাবের চীনা শাখার এই প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে৷ গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসেই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়৷ বেইজিং-এর অদূরে গোপন এক স্থানে কোন রকম আইনি অভিযোগ না তুলে, বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে লিউকে আটক রাখা হয়৷ তিনি একসময় ছাড়া পাবেন এমন আশা এবার ধুলিসাৎ হয়ে গেল৷ চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দপ্তর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা হবে৷ লিউ-র উকিল মো শাও পিং জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী আজ পুলিশের কাছ থেকে জেনেছেন যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আমি অবশ্য কিছুই জানতামনা৷ আমি খবরটা পেয়েছি বার্তা সংস্থার মাধ্যমে৷

Liu Xiaobo Demonstration in Hongkong 2008
শিয়াউবোয়ার মুক্তির দাবিতে হংকংয়ে প্রতিবাদছবি: cc-Pedesbiz 3.0

লিউ শিয়াউবোয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজ করা এবং চীনের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উৎখাত করার লক্ষ্যে গত বেশ কয়েক বছর ধরে আগ্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া এবং সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ তাঁর আইনজীবী মো শাও পিং বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে লিউ শিয়াউবোয়ার বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে এই ভিন্নমতাবলম্বী লেখকের ১৫ বছর কারাদন্ড হতে পারে৷

মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের এই কর্মকান্ডের নিন্দা করেছেন৷

৫৩ বছর বয়স্ক লেখক লিউ শিয়াউবোয়া চীনের গণতন্ত্রমুখী আন্দোলনের অন্যতম নেতা৷

চার্টার ২০০৮ নামের যে-পিটিশনের মাধ্যমে চীনে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ডাক দেয়া হয়েছিল লিউ ছিলেন তার পিছ নে অন্যতম প্রধান শক্তি৷ এতে ৩০০ চীনা বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেন৷ আর এর পরেই এতে স্বাক্ষর করেন চীনের হাজার হাজার মানুষ৷ মানবাধিকারকে সম্মান করে এমন একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির লক্ষ্য নিয়ে চীনে মৌলিক আইনী ও রাজনৈতিক সংস্কারের একটি রূপরেখা প্রস্তাব করা হয় এই পিটিশনে৷ চীনা কর্তৃপক্ষ অনেক স্বাক্ষরকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছে এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক