1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘৫০ বছরে অনেক দিক থেকে বিশ্বের অবনতি হয়েছে’

৩১ জুলাই ২০২২

৫০ বছর আগে ‘আইকনিক' রুবিক্স কিউব উদ্ভাবন করেছিলেন হাঙ্গেরির এর্নো রুবিক৷ এই সময়ে পৃথিবী আমূল পাল্টে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4Ev4q
বিশ্বে কয়েক কোটি রুবিক্স কিউব বিক্রি হয়েছেছবি: picture alliance/dpa/B. Thissen

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে জনবিস্ফোরণ–সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে, মন্তব্য হাঙ্গেরিয়ান উদ্ভাবকের৷

প্রায় তিন বাই তিন বাই তিন ইঞ্চি মাপের  নানারঙের এই ধাঁধার বাক্সটি তৈরি করেছিলেন হাঙ্গেরিয়ান উদ্ভাবক রুবিক৷ এটি হাঙ্গেরির অন্যতম সেরা উদ্ভাবন বললে ভুল হবে না৷ শিশু থেকে বৃদ্ধ–এই রুবিক্স কিউব সারা বিশ্বে সমাদৃত, জনপ্রিয়৷ এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে কয়েক কোটি রুবিক্স কিউব বিক্রি হয়েছে৷ সেই কিউবের স্রষ্টার বয়স এখন আটাত্তর৷ এরনো রুবিক বুদাপেস্টের শহরতলির বাড়িতে মন দিয়ে বাগান করতে ভালবাসেন৷ বাগানের যত্ন নিতে নিতে তিনি সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিকে বলেন, ‘‘প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বে এত উন্নতি হয়েছে৷ তবে সবমিলিয়ে ভারসাম্যের বদল নেতিবাচক৷শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সবকিছুই বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছে৷ পৃথিবীর সঙ্গে সরাসরি সংযোগটাও জরুরি৷''

তার কথায়, ‘‘কোনোকিছু ওলটপালট হয়ে গেলে প্রকৃতির এমন ব্যবস্থা রয়েছে যার ফলে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা যায়৷'' তার অনুযোগ, ‘‘আমরা এই ভারসাম্যকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করেছি৷ সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, নম্র, মিতব্যয়ী বা পরিশ্রমী হওয়ার মানে আমরা এখন আর জানি না৷''

রুবিকের সবচেয়ে বিখ্যাত সৃষ্টি এই রুবিক্স কিউব৷ মানুষের ফোকাস বা মনোসংযোগের কথা ভেবেই এটি তৈরি করেন তিনি৷ এর ফলে হাতেনাতে সমস্যা সমাধান করাটা আসলে কী, তা বোঝা সম্ভব৷ তিনি বলেন, ‘‘তরুণ প্রজন্মকে ব্যর্থতা সামলাতে শেখানোই হলো শিক্ষার আসল ভূমিকা৷ শুধু অর্থ নয়, আরো অনেক কিছু জীবনে বিনিয়োগ করা উচিত৷ যেমন– মনোযোগ, শক্তি এবং বৌদ্ধিক চেষ্টা৷ এর ফলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ভুলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুতিটুকু অন্তত নিতে পারবে৷''

ডিজিটাল গেম এবং ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেন রুবিক৷ শিশুদের ক্ষেত্রে এর ফলে বাস্তব জগতে নিজে নিজে কোনো কিছু শেখার সুযোগ কমে আসছে বলে মনে করেন তিনি৷ তার কথায়, ‘‘ আমি যদি বাস্তব জগতকে শুধুমাত্র ভার্চুয়াল লেন্স দিয়ে দেখি, তাহলে অভিজ্ঞতার ব্যাপারটাই মারাত্মকভাবে কমে যায়৷ নিজে কোনো বই পড়া আর কারো থেকে বইয়ের বিষয়বস্তু জেনে নেয়ার যে ফারাক রয়েছে, এটাও তাই৷ আমরা বাস্তবজগতের সঙ্গে সংযোগ হারাতে শুরু করেছি৷''

আরকেসি/এসিবি (রয়টার্স)