৩৮ স্ত্রীর স্বামী ও ৯৪ বাচ্চার বাবা মারা গেলেন
১৫ জুন ২০২১মিজোরামের এই বিশেষ খ্রিস্টান সম্প্রদায় বহুবিবাহে বিশ্বাসী। এই বিশেষ সম্প্রদায় জিয়োনার বাবাই শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে। এখন এই সম্প্রদায়ের সদস্যসংখ্যা দুই হাজার।
মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা জানিয়েছেন, জিয়োনা ও তার পরিবার তাদের গ্রামকে একটা প্রধান পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্র করে তুলেছিলেন।
আশ্চর্য কাহিনি
তিনি প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৯ সালে, যখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। তরপর এক বছরে তিনি দশটি বিয়েও করেছেন।শেষ বিয়ে ২০০৪ সালে। এক ২৫ বছর বয়সী নারীকে বিয়ে করেন।
ভারতে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। কিন্তু মিজোরামে কয়েকটি উপজাতিকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তারা বহুবিবাহ করতে পারে।
তবে জিয়োনা ও তার বিশাল পরিবার একসঙ্গে একটি চারতলা বাড়িতে থাকতেন। বাড়িতে একশটি ঘর আছে। যেখানে তার স্ত্রীরা জিয়োনার শোয়ার ঘরের পাশে একটি ডর্মিটারিতে থাকতেন। তবে তিনি নিজের সঙ্গে সবসময় সাত-আট জন স্ত্রীকে রাখতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নাতিনাতনি নিয়ে তার পরিবারের সদস্যসংখ্যা হলো ১৬৭জন। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের কর্তার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবে ক্যানাডার মর্মোন সম্প্রদায়ের উইনস্টন ব্ল্যাকমোরের ২৭ স্ত্রী ও ১৫০টি ছেলমেয়ে আছে বলে দাবি করা হয়।
২০১১ সালে জিয়োনা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তিনি তার পরিবারকে আরো বাড়াতে রাজি। তিনি আবার বিয়ে করতে চান। তাকে এতজনের দেখভাল করতে হয় বলে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, রয়টার্স)