1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৩০ সেপ্টেম্বর - জার্মান ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দিন

৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯

১৯৮৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাগ শহরে অবস্থিত তৎকালীন পশ্চিম জার্মান দূতাবাসে আশ্রয় নেয়া পূর্ব জার্মান নাগরিকদের পশ্চিমে চলে আসার অনুমতি পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তখনকার পশ্চিম জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনশার৷

https://p.dw.com/p/JuyT
প্রাগে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির দূতাবাস - এখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন পূর্ব জার্মানির বহু মানুষছবি: AP

এর ফলে মোট ১৭০০০ মানুষ প্রাগ থেকে ট্রেনে পূর্ব জার্মানি হয়ে ফেডারেল জার্মানিতে পৌঁছতে সক্ষম হন৷

পূর্ব জার্মানির বেশ কিছু নাগরিক কুড়ি বছর আগে সাবেক চেকোশ্লোভারিয়ার রাজধানী প্রাগে তদানীন্তন পশ্চিম জার্মান দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন পশ্চিমে চলে আসার জন্য৷ এর আগে অনেকে সদ্য খুলে দেওয়া অস্ট্রীয়-হাঙ্গেরীয় সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমে চলে আসার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় হাঙ্গেরীর ভিসা না পাওয়ার কারণে৷ তাই শেষ আশা হিসেবে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন তদানীন্তন পশ্চিম জার্মানির প্রাগ দূতাবাসে৷ এটা ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকের কথা৷ প্রায় সাড়ে সাত হাজার শরণার্থী প্রাগের জার্মান দূতাবাসের প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ পশ্চিমের টিভি ও রেডিও সাংবাদিকরা সেখানকার পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত রিপোর্ট পাঠান তাঁদের টিভি ও পত্রপত্রিকার জন্য৷ যেগুলো দেখে ও পড়ে সকলেই বুঝতে পারেন কি ঘটছে প্রাগের জার্মান দূতাবাসে সাবেক পূর্ব জার্মান নাগরিকদের ব্যাপারে -যাঁরা অধীর আগ্রহের সঙ্গে ও উৎকন্ঠায় সময় কাটাচ্ছিলেন পশ্চিমে পাড়ি জমানোর আশায়৷

Flash-Galerie Botschaftsflüchtlinge Prag
দূতাবাসের লোহার বেঁড়া টপকিয়ে ঢুকছেন পূর্ব জার্মান শরণার্থীছবি: AP
Flash-Galerie Botschaftsflüchtlinge Prag
দূতাবাস ভবনের লোহার বেঁড়ার ওপার থেকে দেখছেন শরণার্থীরাছবি: AP

কূটনীতিকরা বলেছিলেন, পরিস্থিতি সত্যিই নাজুক৷ রেড ক্রস কর্মীরা জার্মান দূতাবাসে অবস্থানরত শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন৷ এমনকি অন্তঃসত্বা মহিলারা তাঁদের শিশুর জন্ম দেন দূতাবাস প্রাঙ্গনে ৷ ঠিক এই পরিস্থিতিতেই পশ্চিম জার্মানির তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স-ডিট্রিশ গেনশার ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাগের জার্মান দূতাবাসে আসেন চেকোশ্লোভাকিয়া, পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানির কর্মকর্তাদের মধ্যে পর্দার অন্তরালে কয়েক সপ্তাহব্যাপী আলাপ আলোচনার পর৷ শরণার্থীদের জন্য তিনি সাথে নিয়ে আসেন সুখবর৷ তিনি দূতাবাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে মাইকে ঘোষণা করেন: ‘‘আমি এখানে এসেছি আপনাদের এটা জানাতে যে, আপনারা আজ পশ্চিমের পথে রওনা হতে পারেন৷''

Flash-Galerie Botschaftsflüchtlinge Prag
প্রাগের পশ্চিম জার্মান দূতাবাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হান্স ডিট্রিস গ্যানসারছবি: AP
Flash-Galerie Botschaftsflüchtlinge Prag
পশ্চিম জার্মান দূতাবাসের বাইরে রাস্তার ওপর আশ্রয় নেয়া পূর্ব জার্মান নাগরিকরাছবি: AP

গেনশার তাঁর বাক্য শেষ করার আগেই সমবেত সবাই তুমুল আনন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন৷ অনেকের চোখেই দেখা দেয় অশ্রু৷ এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই ১৯৮৯ সালের নয় নভেম্বর বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটে৷ প্রশস্ত হয় জার্মানির পুনরএকত্রীকরণের পথ৷

প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক