1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১৮ যেভাবে বরণ করলো বিশ্ব

১ জানুয়ারি ২০১৮

আতশবাজির ঝলকানি আর আলোক উৎসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বরণ করে নেয়া হলো নতুন বছর ২০১৮ সালকে৷ এবার অবশ্য বাংলাদেশে বিনা অনুমতিতে উন্মুক্ত স্থানে ও বাড়ির ছাদে ‘থার্টিফাস্ট' পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/2qBWj
Silvester - Feuerwerk in Rio de Janeiro
ছবি: picture alliance /ZUMAPRESS.com/H. Ohana

কিন্তু সে নিষেধ অমান্য করে অনেকেই বাসার ছাদে আতশবাজি পুড়িয়ে, পিকনিক করে বরণ করে নিয়েছেন ২০১৮ সালকে৷ এ বিষয়ে সাংবাদিক অনুপম দেব কানুনজ্ঞ ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘পটকা রে পটকা৷ ফানুস রে ফানুস৷ এ জাতি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা জাতি৷ এ জাতিকে ভুয়া নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দাবায়া রাখা যাবে না৷ উদযাপনে রাষ্ট্রীয় বাধা নিপাত যাক, হাসি-আনন্দ মুক্তি পাক৷''

অপর এক সাংবাদিক মাসুদ কামাল অবশ্য ভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘একটু আগে নতুন বছর উদযাপনের উৎসব দেখলাম৷ আকাশে রাশি রাশি ফানুস, নানা ধরনের ফায়ার ওয়ার্কস৷ বাইরে হিম হিম হাওয়া৷ এতকিছুর মধ্যে দৃশ্যমান একটা বড় ব্যতিক্রম বোধকরি এমপিও ভুক্তির দাবি নিয়ে ঢাকায় আসা শিক্ষকদের অবস্থান৷ এই শীতের রাতেও বসে আছেন তারা প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে৷ ছ'দিন অবহেলিত অবস্থায় থাকার পর শুরু করেছেন অনশন৷ শিক্ষকদের বঞ্চিত অবস্থায় শীতের রাতে উন্মুক্ত রাস্তায় ঠেলে দিয়ে জাতি হিসাবে আমরা কি অর্জন করতে চাই? আমাদের সরকার প্রতিদিন উন্নয়নের কথা বলছেন, এই মর্মান্তিক দৃশ্য উন্নয়নের কোন চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে?''

এদিকে বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য দেশে নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজে বর্নিল আতশবাজি ফুটিয়ে ২০১৮ সালকে বরণ করে নেয়া হয়৷ নিউজিল্যান্ডেও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে৷ রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ার ভবন থেকে আতশবাজি পোড়ানো হয়৷

ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বইতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ২০১৮ সালকে বরণ করে নেয়া হয়৷

হংকং-এ মধ্যরাতে প্রায় ১০ মিনিট ধরে সুরের তালে তালে আতশবাজি পোড়ানো হয়৷ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় নতুন বছর উপলক্ষ্যে গণবিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল৷

দুবাইয়ে আতশবাজি পোড়ানোর সঙ্গে ছিল লেজার শোর আয়োজন৷ রাশিয়ার মস্কোয় মূল সড়কগুলোর মোড়ে আতশবাজি পোড়ানো হয়৷

ফ্রান্সে নানা রঙের আলোয় সাজানো হয় বিভিন্ন ভবন৷ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মানুষ নতুন বছরকে বরণ করে নেয়৷

নিউ ইয়র্কে টাইমস স্কয়াকে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে হাজির হয়েছিলেন ১০ লাখ মানুষ৷ মাইনাস ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও মানুষের আনন্দে কোনো ভাটা পড়েনি৷

যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে আতশবাজির ঝলকানিতে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়৷ তবে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ প্রতিটি স্থানে মোতায়েন ছিল পুলিশ৷

এছাড়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, মেক্সিকো, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালাতে নানা আয়োজনকে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে৷ 

লন্ডনে টেমস নদীর উপর আতশবাজি পোড়ানো হয়৷ নতুন বছরকে বরণ করে নিতে একই ধরনের আয়োজন ছিল জার্মানিতেও৷ কোলন, হামবুর্গ, মিউনিখে নতুন বছরকে বরণ করা হয় আতশবাজি পুড়িয়ে৷

সংকলন: অমৃতা পারভেজ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নতুন বছরে আপনার প্রত্যাশা কী? লিখুন নীচের ঘরে৷