1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১২ সাল ইউরো এলাকার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

১১ জানুয়ারি ২০১২

গত কয়েক সপ্তাহ সংবাদপত্রের শিরোনাম থেকে দূরে সরে থাকলেও ইউরোজোন বা ইউরো মুদ্রা এলাকার সংকট মোটেই দূর হয়ে যায় নি৷ ২০১২ সালের শুরুতেই ইউরোপীয় নেতাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

https://p.dw.com/p/13h9k
Illustration: Auf einer Griechenland-Fahne liegen Münzen, aufgenommen am Mittwoch (22.06.2011) in einem Griechischen Restaurant in Dresden. Der drohende Finanzkollaps in Griechenland wird zu Debatten der EU-Staats- und Regierungschefs bei ihrem am Donnerstagabend (23.06.2011) in Brüssel beginnenden Gipfeltreffen führen. Entscheidungen zu neuen Hilfen sind aber laut Einladungsschreiben nicht geplant. Foto: Arno Burgi/lsn
প্রতীকী ছবিছবি: picture alliance/ZB

বর্তমান পরিস্থিতি

২০১১ সালে ইউরো এলাকায় যে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছিল, নতুন বছরেও সেগুলি মোটেই কেটে যায় নি৷ সমস্যা আসলে তিন রকমের৷ আর্থিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক৷ কড়া হাতে সংস্কার চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও গ্রিস, ইটালি, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশ এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না৷ কিন্তু সমস্যা হলো, ব্যয় সংকোচন ও সংস্কার করতে গিয়ে ইউরো এলাকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেমে যাচ্ছে৷ মানুষের আয় কমিয়ে তাদের উপর আরও করের বোঝা চাপালে তারা ব্যয় করবে কীভাবে? এটাও একটা বড় সমস্যা৷ আর এবছর ফ্রান্স ও গ্রিসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ নিকোলা সার্কোজি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ আমরা জানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকা শক্তি ফ্রান্স ও জার্মানি৷ এতদিন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সার্কোজির সঙ্গে একযোগে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন৷ সেই ক্ষমতাকেন্দ্রে শূন্যতা এলে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ম্যার্কেল ও আইএমএফ'এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ হাল ধরবেন বলে অনেকে মনে করছেন৷

গ্রিস তথা ইউরো এলাকার ভবিষ্যৎ রূপরেখা সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হলো, কোনো দেশকেই যাতে ইউরো এলাকা ছেড়ে চলে যেতে না হয়৷ গ্রিসের বিষয়টি অবশ্য একেবারে আলাদা৷ সেদেশের সংকট কাটাতে বেসরকারি ক্ষেত্র এগিয়ে এসেছে বটে, কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়৷ গ্রিসকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে৷ ব্যাংকগুলি যাতে স্বেচ্ছায় গ্রিসের ঋণভার কিছুটা লাঘব করে, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি৷ মোটকথা, এই সব পদক্ষেপের ফলে গ্রিস একটা বড় সুযোগ পাচ্ছে৷ তবে এটা একেবারেই একটা ব্যতিক্রম৷''

French President Nicolas Sarkozy (L) and German Chancellor Angela Merkel smile as they address a news conference following their talks at the Chancellery in Berlin January 9, 2012. REUTERS/Fabrizio Bensch (GERMANY - Tags: POLITICS)
বছরের প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও নিকোলা সার্কোজিছবি: Reuters

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

তবে শুধু ম্যার্কেল ও সার্কোজি নয়, ইউরোপীয় নেতাদের বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হবে৷ গত বছরে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করাই হবে প্রথম পদক্ষেপ, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভবিষ্যতে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নতুন কাঠামো৷ মন্দা এড়াতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করার বিষয়েও ইইউ নেতারা কথা বলবেন৷ ৩০শে জানুয়ারি বছরের প্রথম ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে সোমবারই বার্লিনে ম্যার্কেল-সার্কোজি বৈঠক হয়ে গেলো৷ গোটা ইউরো এলাকায় আর্থিক লেনদেনের উপর কর চাপাতে চান ম্যার্কেল৷ কিন্তু তার ফলে আখেরে ব্রিটেনেরই লাভ হবে বলে মনে করছে ম্যার্কেল'এর জোটসঙ্গী দল৷ তাই বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয় নি৷ সার্কোজি নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন জয় করতে তড়িঘড়ি করে ফ্রান্সে এই কর চালু করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু এমন একক উদ্যোগে ফল পাওয়া কঠিন৷

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

তবে আশার আলো কি একেবারেই দেখা যাচ্ছে না? সামগ্রিক পরিস্থিতি বেশ জটিল, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু এবছর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে৷ ব্যাংকের নতুন প্রধান মারিও দ্রাগি গত মাসেই ব্যাংকগুলিকে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিয়ে বাজারে অনেকটা আস্থা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন৷ এখন প্রশ্ন হলো, ইউরোপীয় নেতারাও ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিতে পারবেন কি না৷ বিশেষ করে ব্রিটেনের ‘একলা চলো রে' নীতির কারণে সেই ঐক্যে আরও চিড় ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য