১৩ বছর বয়সেই নৃত্যগুরু, প্রয়াত কত্থক কিংবদন্তী বিরজু মহারাজ
থেমে গেল ঘুঙুরের ছন্দ৷ পণ্ডিত বিরজু মহারাজের প্রয়াণে শিল্পীমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷
প্রয়াত শিল্পী
৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তী শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। নাচ থেকে তবলা, এমনকি কণ্ঠসঙ্গীতেও তিনি অনন্য। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার রাতে শাস্ত্রীয় নৃত্যের এই অন্যতম গুরু প্রয়াত হন। ছবিঘরে দেখুন তার কিছু স্মৃতি৷
দীর্ঘ সময়ের পথচলা
ছয় দশকের কেরিয়ারে তিনি কত্থক পরিবেশন করেছেন, শিখিয়েছেন, নাচকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য মাত্রায়। তার পুরো নাম ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র মহারাজ৷
কত্থক কিংবদন্তী
ভারতের আটটি শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্যতম কত্থকের মহারাজা তিনি৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, সারা বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্পীরা তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন৷ এ মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি, টুইট করে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী৷
স্মৃতিচারণে আমজাদ আলি খান
প্রখ্যাত সরোদবাদক আমজাদ আলি খানের কথায়, বিরজু মহারাজ তার ভাই। এ মৃত্যু তার ব্যক্তিগত ক্ষতি। ১৯৫৮ সালে একসঙ্গে কাটানো সময়ের কথা, কত্থক নিয়ে ভিনধারার ভাবনার এই শিল্পীর রসবোধের কথা উল্লেখ করেছেন আমজাদ।
প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর
প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই শিল্পী৷ তার নাতনি রাগিনী মহারাজ ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, তারা অন্তাক্ষরী খেলছিলেন রাতের খাওয়া সেরে, আচমকা অসুস্থ পড়েন তিনি৷
পারিবারিক ঘরানায় নৃত্যশৈলী রপ্ত
কত্থকের পরিবারেই জন্ম তার৷ দুই কাকা শম্ভু এবং লচ্ছু ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী। বাবা অচ্চন মহারাজের থেকে তালিম নিয়েছেন তিনি৷ ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি নৃত্যগুরু। দিল্লিতে তার প্রতিষ্ঠানের নাম কলাশ্রম৷
সত্যজিতের ছবিতে
দেশবিদেশের একাধিক সম্মান পেয়েছেন তিনি৷ বাঙালির সঙ্গেও বিরজু মহারাজের সম্পর্ক নিবিড়৷ সত্যজিত্ রায়ের ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ ছবির দুটি নাচের দৃশ্যের জন্য সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি, গেয়েছিলেন গান৷
খোলামেলা মনের শিল্পী
শাস্ত্রীয় এই নৃত্যশিল্পী ছিলেন উদারমনস্ক৷ বলিউডে কাজ করেছেন কিংবদন্তী নৃত্যগুরু৷ ‘বাজিরাও মস্তানি’-তে দীপিকা পাড়ুকোনের জন্য ‘মোহে রং দো লাল’ গানে নৃত্য পরিচালনা করেন৷ তার নৃত্য পরিচালনায় দক্ষিণ ভারতীয় ছবি ‘বিশ্বরূপম’-এ কমল হাসান এবং ‘দেবদাস’ ছবিতে কাজ করেন মাধুরী দীক্ষিত৷