১১ দিন আগে খুন হওয়া আনারের খোঁজে ডুবুরিরা খালে
বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের কোনো অংশ এখনও পাওয়া যায়নি৷ খালে ডুবুরি নামিয়ে খুঁজেছে পুলিশ৷
কসাই গ্রেপ্তার
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, আনোয়ারুলকে খুন করার জন্য বাংলাদেশ থেকে এক কসাইকে আনা হয়েছিল৷ তার নাম জিহাদ৷ খুন করার পর জিহাদ দেহ টুকরো করে মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়৷ তারপর একাধিক ট্রলি ব্যাগে ভরে তা বের করে নিয়ে যাওয়া হয়৷
ফেলে দেয়া হয়েছে ব্যাগ
জিহাদ জেরার মুখে জানিয়েছে, ট্রলি ব্যাগগুলি নানান জায়গায় ফেলা হয়েছে৷ তার মধ্যে কলকাতা ও আশপাশের কিছু খালও আছে৷ তাকে নিয়ে সেই সব জায়গায় যাচ্ছে পুলিশ৷ শুক্রবার জাহিদকে আদালতে তোলার পর তাকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে সিআইডি।
নামানো হলো ডুবুরি
কলকাতার কেষ্টপুর খালে ডুরুরি নামায় পুলিশ৷ পেশাদার ডুবুরিরা খালের জলের নিচে আনোয়ারুলের দেহাংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন৷ দীর্ঘ সময় অনুসন্ধানের পরও শরীরের অংশ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন তারা৷
ভাঙরের কৃষ্ণমাটি এলাকায়
ডুবুরিরা নেমেছিলেন ভাঙরের কৃষ্ণমাটি এলাকায়৷ এখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছিল বলে জেরা করে জানতে পারে সিআইডি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের হতাশ হতে হয়৷ সূত্র জানাচ্ছে, জিহাদ সম্ভবত সিআইডিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে৷
দেহাংশ কোথায়?
সিআইডি এই বিষয়টি নিয়ে জিহাদকে অনেকক্ষণ জেরা করেছে৷ জিহাদ কয়েকটি জায়গার নাম বলেছে৷ সেই সব জায়গায় খোঁজ করেছে সিআইডি৷ সঙ্গে জিহাদকেও নিয়ে যাওয়া হয়৷
সিআইডির তৎপরতা
সিআইডির কর্মকর্তারা দিনভর এই দেহাংশ উদ্ধারের জন্য রীতিমতো তৎপর ছিলেন৷ যে সব জায়গার নাম তারা জানতে পেরেছেন, তার সবগুলিতেই তারা গেছেন৷ চেষ্টা করেছেন ব্যাগ খুঁজে বের করতে৷ কলকাতার ময়লার ভাগাড়েও তারা জিহাদকে নিয়ে গিয়েছিলেন৷
সেদিন কী হয়েছিল?
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ফ্ল্যাটে ঢোকার পর আনোয়ারুলকে খুন করা হয়৷ খুন ও দেহ গুম করাসহ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একেকজনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছিল৷ সেই অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা৷
কেন এই হত্যা?
কেন আনোয়ারুলকে হত্যা করা হলো তা সিআইডি জানায়নি৷ তদন্তের কাজ শেষ না হলে এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে না৷ তবে তারা আগে দেহাংশ উদ্ধারের উপরই জোর দিচ্ছে। কারণ দেহ বা দেহাংশ না পেলে সিআইডি ও পুলিশের পক্ষে মামলার পর্যাপ্ত প্রমাণ যোগাড়ে বেগ পেতে হবে৷