১০ হাজার সাপ ধরলেন থাই দমকল কর্মী!
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের দমকল কর্মী পিনিও পুকপিনিও৷ তবে আগুন নেভানোর চেয়ে সাপ ধরার কাজেই ব্যস্ত থাকেন তিনি৷
সাপের শহর
ব্যাংককের দুর্যোগ প্রতিরোধ বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ব্যাংককের বাসাবাড়িতে প্রায় ৩৮ হাজারটি সাপ ঢোকার ঘটনা ঘটেছে৷ বর্ষা মৌসুমে খাবারের সন্ধানে বাড়ির বাগান কিংবা টয়লেটে সাপ ঢুকে পড়ে৷
দমকলে ফোন
বাসায় সাপের দেখা পেলে অনেকেই দমকল অফিসে ফোন করেন৷ ফলে হিসেব করে দেখা গেছে, আগুন নেভানোর চেয়ে সাপ ধরার কাজেই ব্যস্ত থাকেন ব্যাংককের দমকল কর্মীরা৷
দিনে একশর বেশি
ব্যাংককের দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে বাসাবাড়িতে দিনে একশোর বেশি সাপ ঢুকে পড়ার খবর পাচ্ছেন তাঁরা৷
১৬ বছরে ১০ হাজার!
ব্যাংককের এক দমকল অফিসে কাজ করেন পিনিও পুকপিনিও৷ গত ১৬ বছরে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে তিনি প্রায় দশ হাজার সাপ ধরেছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ তিনি যে দমকল অফিসে কাজ করেন সেখানে সাপ থেকে বাঁচতে সহায়তা চেয়ে বছরে প্রায় তিন হাজার টেলিফোন কল আসে বলে জানান পাকপিনিয়ো৷ ছবিতে তাঁকে তাঁরই ধরা কয়েকটি অজগরের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছেন৷
৩০ ভাগ বিষধর!
বছরে সর্বোচ্চ আটশোর মতো সাপ ধরেন পুকপিনিও৷ এর মধ্যে ৭০ ভাগ বিষধর নয়, এমন অজগর সাপ৷ বাকিগুলো কোবরাসহ অন্যান্য বিষধর সাপ৷
প্রতিষেধক তৈরি
বিষধর সাপ ধরার পর সেগুলো বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷ সেখানে বিশেষজ্ঞরা সাপ থেকে বিষ বের করে প্রতিষেধক তৈরি করেন৷
সাপের দেখাশোনা
দমকল অফিসে যখন কিছুটা অবসর পান তখন পুকপিনিও খাঁচায় থাকা সাপদের দেখাশোনা করেন৷ তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন৷ এছাড়া সাপ কীভাবে সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তিনি৷
সন্তুষ্টি
নিজের কাজে গর্বিত পুকপিনিও৷ ‘‘কাজের কারণে আমার নিজেকে সুপারহিরো মনে হয়৷ বিপদে পড়া মানুষকে আমি সহায়তা করি৷ এই কাজ করে আমি খুব খুশি,’’ বলেন তিনি৷