1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যানোভারের শিল্পমেলায় ভারতকে আমন্ত্রণ

২৬ নভেম্বর ২০১০

কলকাতায় ডয়চে মেসে বা জার্মান প্রদর্শনী সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভল্ফগাং পেশ আগামী বছর হ্যানোভার শিল্পমেলার এক আকর্ষণীয় তথ্যচিত্র পরিবেশন করলেন৷ আর পূর্বাঞ্চলের শিল্পদ্যোগীদের আমন্ত্রণ জানালেন ঐ মেলায় অংশগ্রহণের জন্য৷

https://p.dw.com/p/QIhG
হ্যানোভারের শিল্পমেলায় ভারতের ছোঁয়া (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বুধবার কলকাতার প্রচার মাধ্যমের সামনে ভল্ফগাং পেশ ঘোষণা করেন যে, ২০১১ সালের এপ্রিল ৪-৮ তারিখ পর্যন্ত যে বিরাট শিল্পমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার মূল বিষয় হবে স্মার্ট এফিসিয়েন্সি বা তৎপর সুদক্ষতা৷ তিনি বলেন যে বিশ্বের এই বৃহত্তম শিল্পমেলায় তেরোটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে যেগুলির ভিতর উল্লেখনীয় হল তেজঃশক্তি, শিল্প নির্ভর অটোমেশন, তেজঃশক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় নবতম প্রযুক্তি, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি এবং বায়ু শক্তি৷ আগামী বছরের এই শিল্প মেলায় সহযোগী রাষ্ট্রের সম্মান প্রদান করা হয়েছে ফ্রান্সকে৷

ইউরোপের আগ্রণী এই শিল্প রাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্যিক সহযোগিতা বহুমুখী, ২০০৯ সালে এ দেশের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্যের আর্থিক অঙ্ক পৌঁছেছিল ১১৪ বিলিয়ান ইউরোয়৷ বলা বাহুল্য ভল্ফগাং পেশ পূর্বাঞ্চলের শিল্পগোষ্ঠীদের সাদর আমন্ত্রণ জানান হ্যানোভারের শিল্পমেলায় অংশগ্রহণের জন্য৷ এই শিল্পমেলায় ভারতীয় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন পূর্বাঞ্চলের ভারত-জার্মান বাণিজ্য চেম্বারের প্রধান বি. জি. রায়৷ তিনি বলেন ভারতের বিরাট নামি সংস্থাগুলি শুধু নয়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলিও সাগ্রহে এই শিল্পমেলায় অংশগ্রহণ করে এসেছে৷ এবছরে অনুষ্ঠিত শিল্পমেলায় সব মিলিয়ে ভারতে ১৫০টি শিল্প সংস্থা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিল৷ আগামী বছর, আশা করা হচ্ছে যে অংশগ্রহণকারী সংখ্যা ১৫০ অতিক্রম করবে, এবং যে সংস্থাগুলি উপস্থিত হবে সেগুলির কর্মবৃত্ত হল তেজশক্তি উৎপাদন, প্রসেস অটোমেশন, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সাপ্লাই৷

এবছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বারোটিরও বেশি ক্ষুদ্র সংস্থা মেলায় উপস্থিত ছিল এবং পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল একশোরও বেশি৷ স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে বিশ্বের এই বৃহত্তম শিল্পমেলায় অংশগ্রহণের জন্য এত আগ্রহ কেন৷ ভল্ফগাং পেশ বলেন যে শিল্পদ্যোগের বহু বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে নবতম প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে সেইগুলিকে পেশ করা হয় এই শিল্পমেলায়৷ দ্বিতীয়ত, পাঁচটি মহাদেশের শিল্পদ্যোগীদের উপস্থিতির ফলে শিল্পমেলাটি একটি মহামিলন প্রাঙ্গনে পরিণত হয়৷ এই প্রাঙ্গনে ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপিত হয়, সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা বিকশিত হয়ে ওঠে৷

প্রতিবেদন: শুভরঞ্জন দাশগুপ্ত, কলকাতা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক