হ্যাকারের হামলায় নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র
১৪ ডিসেম্বর ২০২০এক ব্লগ পোস্টে ‘রেড টিম' টুলস চুরি যাওয়ার খবর জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআর্ম আরো বলেছিল, তাদের অনুমান, রেড টিম চুরি করা বিশ্বমানের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই কেবল সম্ভব৷
ফায়ার আই হ্যাক করার ঘটনা তদন্ত করছে এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ৷ কোষাগার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন উলিয়ট বলেন, ‘‘ সরকার এ সংক্রান্ত সব খবরে চোখ রাখছে৷ ঘটনার পেছনে যারা, তাদের চিহ্নিত করার সব চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷''
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফায়ারআই হ্যাক করা হয়েছিল সোলারউইন্ডস নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে৷ বার্তাসংস্থা এপির কাছে সোলারউইন্ডস কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷
সত্যি সত্যিই সোলারউইন্ডসের মাধ্যমে ফায়ারআই-কে হ্যাক করা হয়ে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের আরো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারেন হ্যাকাররা৷ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৫০০টি কোম্পানি, সবচেয়ে বড় দশটি টেলিযোগাযোগ সংস্থা, সেনাবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, এমনকি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ও রয়েছে সোলারউইন্ডস-এর গ্রাহকের তালিকায়৷সোলারউইন্ডসের মাধ্যমে হ্যাক করে থাকলে এসব প্রতিষ্ঠানও হ্যাককরতে পারবেন হ্যাকাররা৷
নাটের গুরু রাশিয়া
ফায়ারআই-এর ওয়েবসাইটে হ্যাকারদের হামলার কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা রাশিয়া-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য জানতে মরিয়া বলে দাবি করেছিলেন৷এখনো রাশিয়ার নামই সবার আগে উঠে আসছে সন্দেহের তালিকায়৷ যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ারদূতাবাস অবশ্য রোববার এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে৷ এক ফেসবুক পোষ্টে দূতাবাস বলেছে, রাশিয়া এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে একেবারেই জড়িত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম কোনো প্রমাণ ছাড়া অহেতুক রাশিয়ার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে৷
এসিবি/কেএম (এপি, এএফপি, রয়টার্স)