1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যাকারের থাবায় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা সাকারবার্গ

২৭ জানুয়ারি ২০১১

হ্যাকারের থাবার শিকার হলেন স্বয়ং ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গ৷ হ্যাকার হানা দিয়েছিল সাকারবার্গের ফ্যান পেজে৷ আর এই ঘটনার পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য আরো কড়া নিরাপত্তার পথ বাতলে দিল ফেসবুক৷

https://p.dw.com/p/105in
Mark, Zuckerberg, headshot, Facebook, founder, photo, black ফেসবুক, প্রতিষ্ঠাতা, মার্ক, সাকারবার্গ, হ্যাকার, ইউনূস, সামাজিক, ব্যবসা, গ্রামীণ ব্যাংক, নোবেল, নেটওয়ার্ক
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গছবি: AP

বিশ্বের বড় বড় উদ্যোক্তারা ইন্টারনেট ভিত্তিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের খবর প্রকাশের মাত্র কয়েকদিন পরই হ্যাকার আঘাত হানল সাকারবার্গের ফ্যান পেজে৷ ‘হ্যাকারকাপ২০১১' নাম দিয়ে সাকারবার্গের ফ্যান পেজে পোস্ট করা হয়েছে ‘বাগ'৷ মূলত ফেসবুকের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার দিকে ইঙ্গিত করেই এমন নাম উল্লেখ করেছে হ্যাকার৷

বাগে লেখা হয়েছে, ‘‘চলো শুরু করি হ্যাকিং৷ ফেসবুকের যদি অর্থের প্রয়োজন হয়, তবে ব্যাংকের দ্বারস্থ না হয়ে কেন তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামাজিক পন্থায় সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে না?'' গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদাহরণ টেনে হ্যাকার বলছেন, ‘‘নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের তুলে ধরা ‘সামাজিক ব্যবসা'য় কেন রূপান্তরিত করা হচ্ছে না ফেসবুককে?'' অবশ্য এই বাগ ধরা পড়ার পর এটি মুছে ফেলার আগেই এক হাজার আটশ'রও বেশি সদস্যদের পছন্দের তালিকায় পৌঁছে যায় এটি৷

সাকারবার্গের ফ্যান পেজে রয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত৷ তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষ মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্টরাই মূলত সাকারবার্গের এই পেজ দেখা শোনা করেন৷ তারপরও কী করে হ্যাকারের পক্ষে এই পেজে হানা দেওয়া সম্ভব হলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা৷ ধারণা করা হচ্ছে, অনুমান করে পাসওয়ার্ড বের করে পেজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছিল হ্যাকাররা৷ কিংবা নিরাপত্তা বেষ্টনির বাইরের কোন নেটওয়ার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এটিকে৷ আবার কেউ বলছেন, সাকারবার্গ কিংবা তাঁর অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারকে ধোঁকা দিয়ে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷ আর না হয়, চুপিসারে তাঁদের কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হ্যাকারদের দল৷

তবে যেভাবেই হ্যাক করা সম্ভব হোক না কেন, এই ঘটনা থেকে অন্তত একটি কড়া প্রশ্ন দেখা দিল যে, এরপরও কি আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফেসবুকের উপর ভরসা করবেন? এমন মন্তব্য করলেন ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সফোস' এর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান পল ডাকলিন৷ যাহোক, বিশ্লেষকদের এমন তীর্যক প্রশ্নের মুখেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য আরো কিছু নতুন পন্থার কথা ঘোষণা করল ফেসবুক৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান