হেরে গেলো বার্সেলোনা, শেষ হাসি হাসলো ইন্টারমিলান
২১ এপ্রিল ২০১০অবশ্য তারা ইন্টারমিলানের পোস্টে এক গোল ঢুকাতে পেরেছে৷
ইন্টারমিলানের পুরো নামটা জানেন৷ ইটালির এই দলটির পুরো নাম ইন্টারন্যাজিওন্যালে মিলানো, সংক্ষেপে ভালোবেসে ইন্টারমিলান নামেই ডাকা হয়৷ এই দলের সঙ্গে অনেকটা সেয়ানে সেয়ানে লড়াই ছিল বার্সেলোনার৷ সমর্থকদের কাছে বার্সেলোনা শুধুই বার্সা৷
সেমিফাইনালের এই খেলায় নিজেদের বড় লোকসানের জন্য খেলোয়াড়দের ক্লান্তিকেই দুষেছেন বার্সেলোনার সমর্থকরা৷ কেনই বা তা হবে না! ছাই মেঘের কবলে পড়ে বিমানে উড়ে নয়, দীর্ঘ পথ তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দূরপাল্লার বাসে চেপে৷ বাস সে যতই আরামদায়ক হোক না কেন, পথের ক্লান্তি বলে একটা কথা আছে না!
যাকগে, খেলার শুরুটা হয়েছিল বেশ৷ স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক৷ হর্ষধ্বনি দুই শিবির থেকেই৷ বল মাঠে গড়ানোর পর বোঝা গেলো নিজের মাঠে কতোটা শক্তিশালী ইন্টারমিলানের খেলোয়াড়রা৷ খেলা শুরু হবার ১৯ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনার পক্ষে প্রথম গোলটি করেন পেদ্রো রডরিগেজ, ১৯ মিনিটের মাথায়৷ বার্সেলোনার সমর্থকদের আনন্দ হাততালি আর সুর করে গান গাইবার সুযোগটা একবারই এসেছিল৷ এরপর আর কোন গোল তারা পায়নি, ফলে আনন্দও করতে পারেনি৷ কেবল হজম করেছে অপর দলের গান, আনন্দ আর গোল৷ ৩০ মিনিটের মাথায় ওয়েসলি স্নাইডারের পা থেকে আবার গোল আসে ইন্টারমিলানের৷ এরপর ৪৮ এবং ৬১ মিনিটের মাথায় গোল করেন মাইকন এবং দিয়েগো মিলিটো৷
এই খেলার পর ‘দ্য গোল' নামের ফুটবল খেলা বিষয়ক নিউজ ওয়েবসাইট বার্সেলোনার লিয়নেল মেসিকে উপাধি দিয়েছে সেরা খেলোয়াড় নয়, ফ্লপ খেলোয়াড় হিসাবে৷ আর সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইন্টারমিলানের ওয়েসলি স্নাইডার৷
বলে রাখা ভালো গত নভেম্বর মাসে বার্সেলোনা কিন্তু ইন্টারমিলানকে ধরাশায়ী করেছিল৷ এবার কি সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো ১৯০৮ সালে জন্ম নেয়া দল ইন্টার মিলান!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অর্থাৎ উয়েফা কাপের সেমিফাইনালের অপর আসরটি বুধবার৷ জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ এবং অলিম্পিক লিওঁ হচ্ছে মুখোমুখি৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম