হেনার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অমিল: তদন্তের নির্দেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়৷ হাইকোর্টের আদেশে বৃহস্পতিবার আদালতে হেনার বাবা ও বোন ছাড়াও উপস্থিত হন নড়িয়া থানার উপপরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার এবং চামটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস শেখ৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফর ডটকমের এক খবরে বলা হয়েছে, আদালত এই মামলার অন্যতম আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে আদালত প্রাঙ্গণেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি মাহবুব হোসেনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে সিআইডি৷ মাহবুবসহ এই মামলার পাঁচজন আসামিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো৷
গত ২৪ জানুয়ারি শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা গ্রামে শালিসে দেওয়া ফতোয়ায় দোররা মারার পর ৩১ জানুয়ারি মারা যান হেনা আক্তার৷ এরপর তার বাবা ১৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন৷ চাচাত ভাই মাহবুবের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনায় ঐ সালিশ বসে৷
প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হেনার শরীরে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন না পাওয়ার কথা বলা হয়৷ গত সোমবার আবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বেঞ্চ৷ দ্বিতীয়বারের এই ময়নাতদন্ত করা হয় ঢাকায়৷ এবং এই রিপোর্টে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী