1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে গেছে তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে

২২ এপ্রিল ২০১১

প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে বেশ কিছু রোগের প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে৷ মুটিয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এর মতো রোগগুলোর কারণে ভবিষ্যতে হৃদরোগের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/112EB
ছবি: picture-alliance/chromorange

ভারতের একটি গবষণামূলক সমীক্ষায় একথা বলা হয়েছে৷ নতুন দিল্লির ১১০০ প্রাপ্তবয়স্কের উপর গত সাত বছর ধরে এই গবেষণা চালানো হয়েছে৷ নতুন দিল্লিতে অবস্থিত ‘সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল' এর চিকিৎসক দোরাইরাজ প্রভাকরণ৷ তিনি জড়িত ছিলেন এই গবেষণার সঙ্গে৷ বলেন, ভারতের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় এই রোগগুলোর আধিক্য আমাকে বিস্মিত করেনি৷

যদিও পশ্চিমা ধাঁচের খাবার-দাবারকে মূলত মুটিয়ে যাওয়া এবং এই ধরণের রোগের জন্য দায়ী করা হয়, কিন্তু ভারতে সেই ধরণের খাদ্যাভ্যাস খুব বেশি পরিচিত নয়৷ প্রভাকরণ বলেন, ভারতের অনেক জনপ্রিয় খাবার রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয়৷ আর সেই খাবারগুলোতে চিনি এবং চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি৷

প্রভাকরণ বলেন, গত দশকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামের দিকেও হৃদরোগীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে৷

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় পড়তা বয়স ছিল ২৯ বছর৷ তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ ছিলেন মোটা৷ আর ৭ বছর পর দেখা গেছে তাঁদের ৭০ শতাংশই মুটিয়ে গেছেন৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সংখ্যা ১১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশে৷ এবং নারীদের মধ্যে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ১৫ শতাংশে৷ অন্যদিকে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে শতকরা ৫ ভাগ থেকে বেড়ে এখন শতকরা ১২ ভাগে৷ মেয়েদের বেলায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর হার ছিল শতকরা ৩.৫ ভাগ৷ সাত বছর পরে ডায়াবেটিক মেয়ে রোগীদের হার দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে৷

মাত্র সাত বছরে অর্থাৎ এত অল্প সময়ে রোগীদের সংখ্যা এই পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভারতের এই প্রজন্মের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষরা ভবিষ্যতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে ভুগতে পারেন৷

ভারতের লোকস্যংখ্যা বর্তমানে এক বিলিয়নের চেয়েও বেশি৷ ২০১০ সালে সারা বিশ্বে হৃদরোগীদের ৬০ শতাংশই দেখা যায় সেখানে৷ হৃদরোগ এবং এই ধরণের রোগের কারণে ভারতীয়দের আয়ের একটা বড় অংশ চলে যায় স্বাস্থ্যখাতে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক