1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌হুমকিবাজির দিন শুরু

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আগে যে হুমকি আসত বেনামি টেলিফোনে, কিংবা চিঠিতে, এখন সেটা আসছে সরাসরি৷ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বাহকরা এখন এতটাই বেপরোয়া বাংলায়৷

https://p.dw.com/p/3PfM8
Symbolbild Facebook Smartphone
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Lipinski

টুইটার, ফেসবুক ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রাখা একটাই কারণে, যাতে কোনো বিষয়ে নিজের মতামত জানানো যায়৷ আলোচনা, তর্কে অংশ নেওয়া যায় খোলা মনে৷ কিন্তু সেই খোলা পরিসরটাই এবার নষ্ট করতে তৎপর হিন্দুত্ববাদী এবং মোদীভক্তরা৷ পালটা অপপ্রচারই শুধু নয়, যাঁরাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, বা ধর্মীয় নিরপেক্ষতার পক্ষে, তাঁরাই টার্গেট হচ্ছেন সোশাল মিডিয়ায়৷ ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে হুমকি চলে আসছে বাস্তব জীবনেও৷ এবং আগে যা কখনও হয়নি, হমকিদাতারা নিজেদের পরিচয় গোপন করারও দরকার মনে করছে না৷

সদ্য এই অভিজ্ঞতা হয়েছে জনপ্রিয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের৷ ভারতের চন্দ্র অভিযানের আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান কে শিবন পুজো দিতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি বালাজির মন্দিরে৷ চন্দ্রযানটির একটি মডেল নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, যেটি বিগ্রহের পায়ে ছুঁইয়ে কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন৷

অনিকেত চট্টোপাধ্যায়

অনিকেত চট্টোপাধ্যায় একজন মহাকাশ বিজ্ঞানীর এই ঈশ্বরভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ফেসবুকে৷ তাঁর যুক্তি ছিল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতের একটি সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে কোনো ধর্মকে এভাবে জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়৷ এর পরই ক্ষেপে ওঠে মোদীভক্তরা, যাদের বক্তব্য, ইসরো প্রধানের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করে অনিকেত আসলে দেশদ্রোহিতা করছেন!‌ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরোধিতা করতেই তাঁর এই কটাক্ষ৷ ফেসবুকের খোলাপাতায় অনিকেতের পোস্টের নিচে এরা খোলাখুলি হুমকি দিতে শুরু করে৷ রাতারাতি অনিকেতের ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি আসতে শুরু করে লাগাতার৷ অনিকেত ডয়চে ভেলেকে বলছেন, আগেও এই হুমকির রাজনীতি ছিল৷ কিন্তু কখনো এভাবে নিজেদের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় জাহির করে হুমকি দেওয়া হতো না৷ এখন হচ্ছে এবং এরা এতই বেপরোয়া যে, পুলিশে অভিযোগ করার পর দাপটের সঙ্গে বলছে, দেখ এবার কী করি!‌

শামিম আহমেদ

বেলুড় কলেজের দর্শনের অধ্যাপক শামিম আহমেদ এই ঘটনায় খুব হতাশ৷ কেন এরকম হচ্ছে, কী করে এরা এত সাহস পাচ্ছে, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না৷ শামিম নিজেও ভুক্তভোগী৷ তাঁর গবেষণার বিষয় মহাভারত৷ খবরের কাগজে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে কিছু ভুল চিহ্নিত করে একদল হিন্দুত্ববাদী ক্ষেপে উঠেছিল তাঁর ওপর৷ তখনও অভিযোগ ছিল, শামিম মুসলিম বলেই হিন্দুদের পুরাণকে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন৷ এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নিষ্ক্রিয়তাও দেখছেন শামিম, যা পরিস্থিতিকে ক্রমশ আরো বিপজ্জনক করে তুলছে বলে তাঁর ধারণা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য