হিমবাহে ধস কী ভাবে নামে
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে পড়েছে। বহু মানুষ মৃত। নিখোঁজ অনেকে। কেন হয় গ্লেসিয়ার ব্লাস্ট?
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহে ব্লাস্ট
রোববার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের নন্দাবেদী হিমবাহ বিপুল গর্জনে ভেঙে পড়ে। একেই বলা হয় গ্লেসিয়ার ব্লাস্ট। মুহূর্তের মধ্যে ওই গ্লেসিয়ার থেকে তৈরি দুইটি নদীতে জল বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ভেসে যায় আশপাশের সমস্ত অঞ্চল। বহু মানুষ জলে ভেসে যান। আটকে পড়েন অনেকে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
উদ্ধারকাজে সেনা
উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা এবং ইন্দো-টিবেটান ফোর্সের জওয়ানরা।
উষ্ণায়নের ফলাফল
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই এ ভাবে গ্লেসিয়ার ব্লাস্ট হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, হিমালয়ে তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্লেসিয়ার গলার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তারই জেরে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে হিমবাহের। ফাটলও ধরেছে সে কারণেই।
২০১৩ সালের ফ্লাশ ফ্লাড
২০১৩ সালে ফ্লাশ ফ্লাড বা আচমকা বন্যার ঘটনা ঘটেছিল উত্তরাখণ্ডে। সে বছর প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সে বছরও আচমকা উত্তরাখণ্ডের নদীতে জল বেড়ে গিয়েছিল। যার জেরে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা।
লাদাখের মেঘফাটা বৃষ্টি
২০১০ সালে লাদাখে হয়েছিল মেঘফাটা বৃষ্টি বা ক্লাউড বার্স্ট। সে বছরও পরিবেশবিদরা বলেছিলেন, উষ্ণায়নের কারণেই লাদাখে ক্লাউড বার্স্ট হয়েছিল। লাদাখে আচমকা সেই বৃষ্টি এবং বন্যায় মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের।
উত্তরাখণ্ডের ঘটনা
বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, উন্নয়নের নামে যে ভাবে হিমালয়ের নদীগুলিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে হিমবাহগুলির উপর। নদীর ধারে প্লাবনভূমি থাকে। উন্নয়নের নামে সে সমস্ত এলাকাও মানুষ দখল করে নিয়েছে। রোববারের ঘটনায় সেই প্লাবনভূমিই ভেসে গিয়েছে।