হিন্দুত্ববাদের মুখ যোগী আদিত্যনাথ
দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশ জিতে এখন গোটা-ভারতে হিন্দুত্বের পোস্টারবয় যোগী আদিত্যনাথ।
অজয় সিং বিস্ত কে চেনেন
যোগী আদিত্যনাথের পূর্বাশ্রমের নাম অজয় সিং বিস্ত। বাড়ি উত্তরপ্রদেশ। সন্ন্যাস নেওয়ার পর তার নাম হয় যোগী আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুরের মঠে তিনি দীক্ষা নেন।
আধ্যাত্মিক বাবা
যোগীর আধ্যাত্মিক পিতা মহন্ত অবৈদ্যনাথ। যোগীর আগে তিনিই ছিলেন গোরক্ষপুর মঠের অধ্যক্ষ। পরে যোগী সেই জায়গা পান।
গোরক্ষপুর মঠ এবং রাজনীতি
গোরক্ষপুর মঠের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক বহুদিনের। এর আগে একাধিক মঠাধ্যক্ষ সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। মহন্ত অবৈদ্যনাথও ব্যতিক্রম নন। যোগী রাজনীতির ময়দানে নামেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে।
কট্টর হিন্দুত্ববাদ
গোরক্ষপুর মঠের একসময়ের অধ্যক্ষ ছিলেন দিগ্বিজয় নাথ। ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ দখল করার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। যোগী আদিত্যনাথ সেই রাজনীতি বহন করছেন তার রক্তে। তার আমলেই বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণ শুরু হয়েছে আদালতের রায় মেনে।
পাঁচবারের সাংসদ
পাঁচবার উত্তরপ্রদেশ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন আদিত্যনাথ। ২০১৭ সালে প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০২২ এর নির্বাচনে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি। যোগী ইতিহাস গড়েছেন।
বিতর্ক এবং যোগী
হেট স্পিচ, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বার খবরের শিরোনামে এসেছেন যোগী। হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়েও তার একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য আছে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসে লাভ-জিহাদের মতো বিতর্কিত আইন প্রণয়ন করেছেন তিনি।
কড়া অনুশাসক
উত্তরপ্রদেশের একাংশের মানুষের বক্তব্য, গুন্ডামির বিরুদ্ধে যোগী কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার আমলে একের পর এক এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। নিন্দুকরা অবশ্য বলেন, এনকাউন্টারের নামে যোগী উত্তরপ্রদেশকে পুলিশরাজ্যে পরিণত করেছেন।
এবং ভবিষ্যৎ
দীর্ঘদিন ভারতে হিন্দুত্ববাদের পোস্টারবয় ছিলেন একসময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসে গেরুয়াধারী যোগী কি সেই পোস্টার নিজের দিকে ছিনিয়ে নিলেন? রাজনৈতিকমহলে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় আলোচনা।