1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'হিটলারের কুমির' এবার মিউজিয়ামে

১৬ ডিসেম্বর ২০২০

গত মে মাসে মস্কোয় মারা যায় কুমিরটি। বলা হয়, এটা ছিল হিটলারের কুমির। সেই কুমিরটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হলো মিউজিয়ামে।

https://p.dw.com/p/3mmZn
কুমির স্যাটার্ন। বলা হয়, এটা হিটলারের কুমির ছিল। ছবি: Mikhail Bibichkov/AP/picture alliance

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। ১৯৪৩ সাল। সে সময় বার্লিনে যখন ঘন ঘন বোমা পড়ছে, তখন চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল কুমিরটি। বলা হয়, এটা ছিল হিটলারের কুমির। নাম স্যাটার্ন। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সেনা খুঁজে পায় স্যাটার্নকে। তারপর তার ঠাঁই হয় মস্কোর চিড়িয়াখানায়। ৮৪ বছর বয়সে গত মে মাসে মারা গেছে কুমিরটি

স্যাটার্নের জন্ম অবশ্য অ্যামেরিকায়। ১৯৩৬ সালে। তারপর তাকে নিয়ে আসা হয় বার্লিনে। তখন রটে যায়, হিটলার এই কুমির পুষছেন। বার্লিন চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ অবশ্য এটাকে নিছক গল্পকথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু সেই কুমির মৃত্যুর পরেও থেকে যাচ্ছে। মস্কোর ডারউইন মিউজিয়ামে। মিউজিয়ামের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর অ্যামেরিকার বন্য প্রাণীদের সেকসনে বাইসন, শজারুদের সঙ্গে রাখা হয়েছে স্যাটার্নকে।

হিটলারের কুমির হোক বা না হোক, স্যাটার্নের কাহিনিও চমকপ্রদ। তার জন্ম মিসিসিপতে। যখন সে সাড়ে তিন মিটার লম্বা এবং দুইশ কেজি ওজন, তখন তাকে নিয়ে আসা হয় বার্লিনে। কবে সে চিড়িয়াখানায় আসে তা জানা যায়নি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে চিড়িয়াখানায় ছিল। বার্লিনে যখন মিত্রশক্তি বোমা ফেলছে, তখনো সে চিড়িয়াখানায়। অনেক জন্তু সে সময় মারা যায়। কয়েকটি জন্তুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। চিড়িয়াখানার চার হাজার জন্তুর মধ্যে মাত্র ৯০টি বেঁচে যায়।

১৯৪৩ সালের ২৩ নভেম্বর যখন চিড়িয়াখানায় বোমা পড়ে, তখন কিছু জন্তু পালিয়ে যায়। তার মধ্যে স্যাটার্ন ছিল। কিন্তু সে কোথায় ছিল তা জানা যায়নি। পরে ব্রিটিশ সেনা যখন স্যাটার্নের খোঁজ পেয়ে তাকে সোভিয়েত বাহিনীর কাছে দেয়, তখন কিছুদিন তার ঠাঁই হয় পূর্ব জার্মানিতে। তারপর তাকে মস্কো নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণত এই ধরনের কুমির গড়ে ৩০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে। কিন্তু স্যাটার্ন বেঁচে ছিল ৮৪ বছর।

জিএইচ/এসজি(এপি,এএফপি, রয়টার্স)