1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারিরি হত্যায় যুক্ত ছিল হেজবোল্লাহ নেতা

১৯ আগস্ট ২০২০

লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হারিরির হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল হেজবোল্লাহ। হেগের আদালতে রায় ঘোষণা।

https://p.dw.com/p/3hAVH
ছবি: picture-alliance/dpa/epa Mounzer

নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতি সংঘ পরিচালিত একটি ট্রাইবুনালে দোষীা সাব্যস্ত হলেন এক হেজবোল্লাহ নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রাফিক হারিরির হত্যাকাণ্ডে তিনিই ছিলেন মূল চক্রী। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশও নিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও আরও তিন হেজবোল্লাহ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হেজবোল্লাহ নেতার নাম সালিম জামিল আয়াস। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। ২০১৪ সাল থেকে হেগের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট ৪১৫ দিন বিচার চলেছে। ২৯৭ জন সাক্ষীর বয়ান শোনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি দুই হাজার ৬০০ পাতার রায়ের মূল অংশগুলি পড়ে শোনান। সেখানে বলা হয়, সালিম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হত্যা ছাড়াও ২২৬ জনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন তিনি। সালিম ছাড়াও আরও পাঁচ হেজবোল্লাহ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে একজন হেজবোল্লাহ কম্যান্ডার ২০১৬ সালে সিরিয়ার যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তাই তাঁকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। একজন প্রমাণের অভাবে নির্দোষ প্রামাণিত হয়েছেন।

অনেকেই বলেন, লেবাননের সব চেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হারিরি। সিরিয়া প্রশ্নে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল। সুন্নি সম্প্রদায়ের নেতা হলেও গোটা দেশেই হারিরির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। বলা হয়, শিয়া অধ্যুষিত হেজবোল্লাহ হারিরির এই জনপ্রিয়তা মেনে নিতে পারেনি। সে কারণেই হেজবোল্লাহর কিছু নেতা হারিরিকে মারার চক্রান্ত করেন। ২০০৫ সালে ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন হারিরি। একই সঙ্গে এলাকায় উপস্থিত আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের আঙুল ওঠে সিরিয়ার দিকে। কিন্তু সিরিয়া বরাবরই তা অস্বীকার করেছে। হেজবোল্লাহর দিকেও একাধিক বার আঙুল উঠেছে। কিন্তু তারাও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং তারা বলেছে, ইসরায়েলের চক্রান্তেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। তাদের বক্তব্য, ইসরায়েল এই কাজ করে হেজবোল্লাহকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।

হেগের আদালত অবশ্য এই সমস্ত তত্ত্বই খারিজ করে দিয়েছে। আদালতে রায় দানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হারিরির ছেলে। তিনিও লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। হেজবোল্লাহ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, এই বিচার প্রক্রিয়াকেই তাঁরা মানছেন না। যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাকে কোনও রকম গুরুত্বই দিচ্ছে না তারা।

সম্প্রতি বৈরুতে বিস্ফোরণে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় পাঁচ হাজার। দেশ জুড়ে সরকার বিরোধী বিদ্রোহের চাপে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টালমাটাল অবস্থা গোটা দেশে। তার মধ্যে হারিরি হত্যার এই রায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, বিস্ফোরণের জন্য হেগের আদালত কিছু দিন রায় দান স্থগিত রেখেছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)