হামবুর্গের রাস্তা পরিষ্কার করেছে হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা
জি-টোয়েন্টি সম্মেলন বিরোধী প্রায় ৭০ হাজার বিক্ষোভকারীর ফেলে যাওয়া আবর্জনার অনেকটাই পরিষ্কার করেছেন হামবুর্গের বাসিন্দারা৷ সামাজিক গণমাধ্যমে একটি গ্রুপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঝাড়ু-বালতি নিয়ে হাজির হয়ে যান তারা৷
ফেসবুকে ডাক
রবিবার পাঁচ তরুণ-তরুণী ফেসবুকে ‘‘হামবুর্গ রাউম্ট আউফ’’ বা ‘‘হামবুর্গ সাফ কর’’ নামে একটি ইভেন্ট চালু করেন৷ সেখানে দুপুর একটায় হামবুর্গের সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে সবাইকে জড়ো হবার আহ্বান জানান৷
অভূতপূর্ব সাড়া
আহ্বানকারীরা আশা করছিলেন যে প্রায় ৮,০০০ মানুষ জড়ো হবেন তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে৷ কিন্তু সাড়া পাওয়া গেল তারচেয়েও বেশি৷ পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১০,০০০ মানুষ সেইন্ট পাউলিতে আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন৷
ঝাড়ু-বালতি হাতে স্থানীয়রা
সময় হতে না হতেই ঝাড়ু-বালতি হাতে অনেককেই দেখা যায়৷ তারা রাস্তা থেকে ইট, পাথর, বোতল ও অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কার করেন৷
মেয়রের প্রতি
পরিষ্কার অভিযানের সময় কেউ কেউ বন্দর শহরটির মেয়র ওলাফ শল্জকে উদ্দেশ্য করেও প্ল্যাকার্ডে বার্তা লিখেছেন৷ যেমন একজন লিখেছেন যে, মি. শল্জ, আপনার সঙ্গে কথা বলা দরকার৷
সংঘর্ষের চিহ্ন
সেইন্ট পাউলিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছিল মূলত বামপন্থি বিক্ষোভকারীদের৷ তাই রাস্তাজুড়ে ইট, কাঁচ এগুলো পড়েছিল৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাতে গ্লাভস পরে এক নারী সেই ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করছেন৷
দেয়াললিখন
শুধু রাস্তা থেকেই আবর্জনা পরিষ্কার করেননি স্থানীয়রা৷ যেসব এলাকায় প্রতিবাদ হয়েছে, সেখানকার দেয়াল ছেয়ে গেছে নানান রকমের প্রতিবাদী লিখনে৷ সেগুলোও পরিষ্কারে নেমেছিলেন হামবুর্গবাসী৷
সবস্তরের মানুষ
এই পরিষ্কার অভিযানে নারী, পুরুষ, তরুণ, বৃদ্ধ সবাই এসেছিলেন৷ অনেকে কোলের শিশুটিকেও সাথে করে যোগ দেন এই আয়োজনে৷
সহিংস বিক্ষোভ
পুলিশ জানিয়েছে, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রতিবাদে অন্যরা অহিংস প্রতিবাদ করলেও শুক্র ও শনিবার বাম ঘরানার উগ্রপন্থিরা সহিংস হয়ে ওঠে৷ মাস্ক পরা বিক্ষোভকারীরা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানাতে ‘‘নরকে স্বাগতম’’ নামে সমাবেশের আয়োজন করে৷
সংঘর্ষে আহত শত শত
পুলিশের দাবি, সহিংস বিক্ষোভকারীরা সুপারমার্কেট ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট চালায়৷ ব্যারিকেড দেয়, আবর্জনার কন্টেইনারে আগুন জ্বালায় এবং পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে৷ এতে করে কয়েকশ’ পুলিশ সদস্য আহত হন এবং প্রায় চারশ’ প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়৷