1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবাদকারীদের খুঁজতে ইইউ-র সহায়তা

১১ জুলাই ২০১৭

জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলাকালে দোকানপাট ভাঙচুর আর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া প্রতিবাদকারীদের খুঁজে বের করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/2gKat
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/J. Widener

৫০ জনের বেশি সন্দেহভাজন সহিংস প্রতিবাদকারীকে আটকে রেখেছে পুলিশ৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের বিচারমন্ত্রীদের সোমবার এ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছেন জার্মান বিচারমন্ত্রী হাইকো মাস৷ চিঠিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলাকালে হামবুর্গের কেন্দ্রীয় এলাকায় দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের দিকে ইটপাটকেল বা বোতল ছুঁড়ে মারা বিদেশি সহিংস প্রতিবাদকারীদের শনাক্তে দ্রুত সহায়তা চাওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বা হবে তাদের গ্রেপ্তারেও সক্রিয় উদ্যোগ কামনা করেছেন মাস৷

এদিকে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ার, যিনি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের একজন রাজনীতিবিদ, জি-টোয়েন্টি চলাকালে ঘৃণ্য সহিংসতায় অংশ নেয়াদের নব্য নাৎসি এবং উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ তিনি জানান, পুলিশ অনেকেকে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেয়ার পরও বিদেশ থেকে কয়েকশত প্রতিবাদকারী হামবুর্গে এসেছিলেন সম্মেলনের সময়৷ শান্তিভঙ্গের দায়ে অভিযুক্তদের বেশ কয়েকবছর কারাবাসের শাস্তি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ডেমেজিয়ার৷

শান্তিভঙ্গের দায়ে ইতোমধ্যে ৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক শারিরীক ক্ষতি সাধন, সম্পদের ক্ষতি এবং পুলিশের কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ আটককৃতদের মধ্যে জার্মানরা ছাড়াও ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, নেদাল্যান্ডস, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিকরা রয়েছেন৷

বিদেশি নাকি অভ্যন্তরীণ?

জার্মান নেতারা দাবি করেছেন, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রতিবাদ করতে আসা হাজার হাজার মানুষের মধ্য থেকে অল্পসংখ্যকই সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন৷ সবচেয়ে বেশি সহিংস প্রতিবাদকারীরা বিদেশি বলেও বিশ্বাস করেন তারা৷ তাসত্ত্বেও জার্মানির অভ্যন্তরের বিরুদ্ধবাদীদের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো উচ্ছেদের ব্যাপারেও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে হামবুর্গের রোটে ফ্লোরা থিয়েটারের দিকেই নজর অনেকের৷ বামপন্থিদের আখড়া হিসেবে পরিচিত এই থিয়েটার অতীতে একাধিকবার বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি৷ জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে প্রতিবাদে অংশ নেয়াদের অনেকের মিলনকেন্দ্র ছিল থিয়েটারটি৷

জার্মানির হামবুর্গে এক বাংলাদেশির প্রতিবাদ

উল্লেখ্য, জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলাকালে কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশনও বাতিল করা হয়৷ পাশাপাশি কয়েকজন সাংবাদিককে পুলিশ অপমান করেছে, হুমকি দিয়েছে, এমনকি তাদের লক্ষ্য করে প্যাপার স্প্রে ছোড়া এবং তাদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করে এ সবের ব্যাখ্যা চয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠন ডিজেভি৷ পুলিশ অবশ্য এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা আখ্যা দিয়েছে৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ, এপি)