হামবুর্গ শহরের দশটি আকর্ষণ
বন্দর শহরে থাকার মজাই আলাদা৷ বিশেষ করে একবার হামবুর্গ ঘুরে এলে এমন চিন্তা মনে আসতেই পারে৷ এলবে নদীর প্রত্যেক ঢেউয়ের মধ্যেই যেন মুক্তির স্বাদ পাওয়া যায়৷
চলমান প্রবাহ
এলবে নদীর উপর দিনরাত জাহাজ চলছে৷ মর্নিং ওয়াকে বেরোলে সোনালি বালুর উপর সিগাল পাখির কলরব অপূর্ব আবহ সৃষ্টি করে৷ সমুদ্র মাত্র ৭০ নটিকাল মাইল দূরে৷ হামবুর্গ বন্দরে আরও বড় জাহাজের প্রবেশ সম্ভব করতে এলবে নদীর তলদেশ আরও গভীর করা হচ্ছে৷
সংগীতের ক্যাথিড্রাল
হামবুর্গ শহর এক নতুন প্রতীক পেয়েছে৷ বিশাল জাহাজের মতো আকাশে জেগে উঠেছে ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা ভবন৷ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ১১০ মিটার উঁচু এই কনসার্ট হল উদ্বোধন করা হয়৷
পাতাল জগত
দ্রুত এলবে নদী পারাপার সম্ভব করতে সেই ১৯১১ সালে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়৷ ইউরোপের ভূখণ্ডে নদীর তলায় সেটাই ছিল প্রথম সুড়ঙ্গ৷ পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে চেপে সেই পথ বিনামূল্যেই অতিক্রম করা যায়৷
সবকিছু নজরবন্দি
ইউরোপের সবচেয়ে বড় নগর প্রকল্প ‘হাফেনসিটি’ হামবুর্গ শহরকে নতুন রূপ দিচ্ছে৷ ২০২৫ সাল থেকে প্রায় ১০,০০০ মানুষ সেখানে বসবাস করবেন৷ একটি ভিউপয়েন্ট থেকে শহরের এই নতুন সংযোজনের উপর নজর রাখা যায়৷
সেতুর রাজধানী
হামবুর্গ শহরের সেতুর সঠিক সংখ্যা কেউই জানে না৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২,৫০০ সেতু ভেনিস, আমস্টারডাম বা লন্ডন শহরকেও হার মানিয়ে দেয়৷ ১ ৮৪২ সালে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পর কাঠের তৈরি কিছু সেতু নতুন করে তৈরি করতে হয়েছিল৷
অফুরন্ত গুদামঘর
১৮৮৮ সালে জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় ভিলহেল্ম শহরের বন্দর এলাকায় আস্ত একটা গুদাম পাড়া উদ্বোধন করেছিলেন৷ সেখানে মালপত্র রাখা বা প্রক্রিয়াজাত করলে তার উপর শুল্কও মকুব করা হয়৷ এখনো সেই এলাকায় চা, কফি বা মশলার গন্ধ পাওয়া যায়৷ ২০১৫ সালে এলাকাটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পায়৷
প্রিয় রাজহাঁস
শহরে বসন্তকালের বার্তা বয়ে আনে প্রায় ১০০ রাজহাঁস৷ শীতের আশ্রয় থেকে তাদের শহরে ফেরার ব্যবস্থা করতে ১৬৭৪ সাল থেকে সরকারের এক দফতর কাজ করে চলেছে৷ রাজারাজড়াদের জন্য সীমিত রাজহাঁস পালন করে হামবুর্গ শহর এভাবে তার স্বাধীন সত্তা তুলে ধরে এসেছে৷
মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা
বিখ্যাত রেপারবান সড়কের পাশে ‘গ্রোসে ফ্রাইহাইট’ নামের ছোট গলি নাবিকদের জন্য বরাবরই ছিল বড় আকর্ষণ৷ গোটা এলাকায় মনোরঞ্জনের নানা উৎস ছড়িয়ে রয়েছে৷ ১৯৬০-এর দশকে থেকে শিল্পী ও সংগীতজ্ঞরাও সেই এলাকার মহিমা আবিষ্কার করেন৷ এমনকি বিটলস গোষ্ঠীও সেখানে সংগীত পরিবেশন করেছে৷
নৃত্যরত টাওয়ার
রেপারবান সড়কের প্রথম ঠিকানাই আজ এক বহুতল অফিস ভবন৷ অপূর্ব এই স্থাপত্যের দু’টি টাওয়ার ট্যাঙ্গো নাচের ভঙ্গিমা মনে করিয়ে দেয়৷ উপরতলে রেস্তোরাঁ ও বার রয়েছে৷ ১০৫ মিটার উপরের ছাদ থেকে রাতে বন্দরের দৃশ্য সত্যি মনোরম৷
‘আবার ফিরে এসো’
হামবুর্গ শহরের বন্দর নিয়ে অস্ট্রিয়ার গায়ক ও অভিনেতা ফ্রেডি কুইন অসাধারণ গান সৃষ্টি করেছিলেন৷ একটি মিউজিক্যাল বা গীতিনাট্যের জন্য লেখা তাঁর গানগুলি গোটা দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল৷