1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যজার্মানি

হানোফার মেলা: মেটাভার্সে বদলে যাচ্ছে আগামী দিনের শিল্প

১৯ এপ্রিল ২০২৩

উৎপাদন বাড়াতে মেটাভার্স প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে শিল্প খাত৷ এতে বদলে যাবে আগামী দিনের শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কাজের ধরন৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় শিল্পমেলা হানোফার সেই ইঙ্গিতই মিলছে৷

https://p.dw.com/p/4QIKh
হ্যানোফার শিল্প মেলায় এবার মেটাভার্স প্রযুক্তি রয়েছে আকর্ষণের কেন্দ্রে
হ্যানোফার শিল্প মেলায় এবার মেটাভার্স প্রযুক্তি রয়েছে আকর্ষণের কেন্দ্রেছবি: Julian Stratenschulte/dpa/picture alliance

আগামী দিনে বিশ্বের শিল্প খাত কোন পথে যাবে, কোন ধরনের প্রযুক্তির দিকে উৎপাদকেরা ঝুঁকবেন, তার ধারণা মেলে জার্মানির হানোফারের শিল্পমেলায়৷ এবার সেখানে আলোচিত বিষয় মেটাভার্স৷

২০২১ সাল থেকেই মেটা প্রযুক্তি নিয়ে হইচই চলছে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তাদের কোম্পানির নাম বদলে মেটা রাখে৷ শুধু সামাজিক মাধ্যমের যোগাযোগে নয় মেটাজ্বর চলছে ব্যবসা বাণিজ্যের দুনিয়াতেও৷ এইচ অ্যান্ড এম, নাইকিসহ বড় বড় পণ্য বিক্রেতা কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য ভার্চুয়াল দুনিয়া তৈরি করেছে৷

তবে দুই বছর পর এসে এখন অনেকেই বলছেন মেটাভার্সের আসলে মৃত্যু ঘটেছে৷ এমনটা ভাবার কিছু কারণও আছে৷  অনেকে এজন্য ক্রিপ্টোমুদ্রার পতনকে দায়ী করেন৷ অনেকে মনে করেন মেটার জায়গাটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে নিয়েছে৷ চ্যাটজিপিটির মতো উদ্ভাবন প্রযুক্তি শিল্পের নজরকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে৷

হ্যানোফার শিল্প মেলায় গত কয়েক বছর ধরে প্রাধান্য পাচ্ছে অটোমেশন প্রযুক্তি
হ্যানোফার শিল্প মেলায় গত কয়েক বছর ধরে প্রাধান্য পাচ্ছে অটোমেশন প্রযুক্তি ছবি: Rainer Jensen/Deutsche Messe

বাস্তব ও ভার্চুয়াল দুনিয়ার মেলবন্ধন

কিন্তু একটি খাতে এখনও মেটার্ভাস বেশ প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে৷ শিল্প উৎপাদকেরা এই প্রযুক্তি ব্যবহারের উজ্জ্বল সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন৷ আর এবারের হানোফার মেলাতেও সেই আলোচনাই প্রাধান্য পাচ্ছে৷

মেটাভার্সের মূল বিষয় হলো ভার্চুয়াল পৃথিবীর সঙ্গে বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটানো, এমনটাই মনে করেন জার্মান তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটকমের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান ক্ল্যুস৷ ‘‘কারখানার মেশিন ডেটা ও বাস্তবের ডেটার মধ্যে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের সংযোগ ঘটানোই ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেটাভার্সের লক্ষ্য,'' বলেন তিনি৷

মেলায় ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হ্যাডসেট, স্মার্ট গ্লাস, সেন্সর গ্লাভসসহ ভার্চুয়ালি বা রিমোট প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করে এমন নানা প্রযুক্তির দেখা মিলছে৷ আছে লেজার স্ক্যানার প্রযুক্তি, যা বাস্তব কোনো কিছুর ডিজিটাল কপি তৈরি করতে পারে৷ ‘ডিজিটাল টুইন' নামে পরিচিত এই প্রযুক্তিকে ইন্ডাস্ট্রিয়া মেটাভার্সের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ এটি হতে পারে অটোমোবাইল, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ এমনকি গোটা কারখানার কপিও৷

মেলায় এমন সার্ভিস রোবটের দেখা মিলছে
মেলায় এমন সার্ভিস রোবটের দেখা মিলছেছবি: Michael Matthey/dpa/picture-alliance

‘ডিজিটাল টুইন’ কমাবে খরচ ও ঝুঁকি

ডিজিটাল টুইনের অনেক ধরনের সুবিধা আছে৷ কোম্পানিগুলো নতুন কিছু উদ্ভাবনের পর ভার্চুয়াল জগতে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পারে এবং ত্রুটি সারিয়ে নেয়া বা চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে পারে৷ কোনো নতুন বিনিয়োগের আগে কর্মক্ষেত্রে এর কী প্রভাব পড়বে, কারখানায় নতুন যন্ত্র বসিয়ে উৎপাদন কতটা বাড়ানো যাবে, প্রক্রিয়া কেমন হবে সেগুলোও আগেভাগে বোঝাপড়ার সুযোগ থাকছে এতে৷

মেটাভার্সের গুরুত্বপূর্ণ দুই অনুষঙ্গ ক্যামেরা ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি৷ শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই দুই প্রযুক্তিই রিমোট ওয়ার্কিং বা দূর নিয়ন্ত্রিত কাজের ধারণাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে৷ যেমন, গভীর সমুদ্রে তেলের খনি বা গ্যাস পাইপলাইনে কোনো সমস্যা হলে দূর থেকেই বিশেষজ্ঞরা তা সমাধান করতে পারবেন৷ ফ্রাউনহফার ইনস্টিটিউট-এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার থমাস ক্যুন বলেন, ‘‘বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে থাকলেও মেটাভার্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে সেগুলোকে যুক্ত করতে পারব৷’’

ক্রিস্টি প্লাডসন/এফএস

জার্মানির হাইটেক প্রযুক্তিতে পাকিস্তানি নারীর বাজিমাত