1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাতির সমান সরীসৃপ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

২৩ নভেম্বর ২০১৮

পোল্যান্ডে বিজ্ঞানীরা ২০০ মিলিয়ন বছর পুরোনো একটি সরীসৃপের ফসিল খুঁজে পেয়েছেন৷ ডায়নোসরের সমসাময়িক এই তৃণভোজী সরীসৃপটির আকার হাতির মতো৷

https://p.dw.com/p/38myM
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/P. Kopczynski

২০০ বছর আগে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতো বিশাল আকারের ডায়নোসর৷ এ কথা সবার জানা হলেও সেই সময়ের একটি বিশাল সরীসৃপের কথা জানতেন না কেউ৷ কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীদের একটি দল এমনই এক প্রাণীর ফসিল খুঁজে পেয়েছেন৷

‘সায়েন্স' পত্রিকায় এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশিত হলে জানা যায়, ডায়নোসর ছাড়াও ‘ট্রায়াসিক যুগ'-এ ছিল হাতির সমান একটি সরীসৃপও, যা দেখতে অনেকটা গণ্ডারের মতো৷

চারপেয়ে এই প্রাণীটির ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গেছে পোল্যান্ডের লিসোভিৎসে শহরের পাশে৷ তাই প্রাণীটির নাম ‘লিসোভিৎসিয়া বোজানি' রাখা হয়েছে শহরের নামের সাথে মিলিয়েই৷

সুইডেন ও পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের এই দলটি জানিয়েছে, মূলত তৃণভোজী এই প্রাণীটির শরীর গণ্ডারের মতো হলেও ঠোঁট অবিকল কচ্ছপের মতো৷

এর আগে, ‘ডাইসাইনোডন্ট' প্রজাতির প্রাণীদের কথা বৈজ্ঞানিক মহলে আলোচিত হয়েছে৷ লিসোভিৎসিয়া'র মতো ডাইসাইনোডন্ট প্রজাতির সরীসৃপও তৃণভোজী ও অন্যান্য দিক দিয়ে স্তন্যপায়ী জীবের কাছাকাছি৷ কিন্তু আকারের হিসাবে লিসোভিৎসিয়া ডাইসাইনোডন্টের চেয়ে কয়েকগুণ বড়৷

বিজ্ঞানীরা বলেন, হাতির সমান লিসোভিৎসিয়া দৈর্ঘ্যে সাড়ে চার মিটার ও দশ টন ওজনের৷ বিপরীতে ডাইসাইনোডন্টের আকার ইঁদুর বা বড়জোর ষাঁড়ের সমান ছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা৷

 

কেন গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কার?

বিজ্ঞানী টমাস সুলেজের মতে, ‘‘এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী, কারণ, ডাইসাইনোডন্ট বিষয়ে বর্তমান গবেষণার ধারা বদলাতে পারে এই আবিষ্কার৷'' ডায়নোসরের বিশাল আকার নিয়েও অনেক অজানা তথ্য জানাবে এই লিসোভিৎসিয়া, জানান সুলেজ৷

২৫০ মিলিয়ন বছর আগের একটি মহামারী পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ প্রজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়৷ কিন্ত নতুন এই ফসিল থেকে জানা গেছে যে, লিসোভিৎসিয়া প্রাণীটি এই মহামারীর বেশ পরে, আনুমানিক ২০৫ থেকে ২১০ মিলিয়ন বছর আগে ডায়নোসরের সাথেই পৃথিবীতে আসে৷

সুতরাং, এতদিন ইতিহাসের যে অধ্যায়কে বিজ্ঞানীরা চিনতেন শুধু ডায়নোসরের সময় হিসাবেই, সেই ধারণাকে আমূল বদলাতে পারে পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ডে খুঁজে পাওয়া এই আশ্চর্য প্রাণীর ফসিল৷

এসএস/এসিবি (এএফপি/এপি/রয়টার্স)