1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইড্রোজেনে চলবে ট্রেন, বাঁচবে পরিবেশ

২৫ নভেম্বর ২০২০

আর ডিজেল নয়, এ বার হাইড্রোজেনে চলবে ট্রেন। বাঁচবে পরিবেশ। ২০২৪ সালে এই ধরনের ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে।

https://p.dw.com/p/3lmhB
ছবি: Siemens AG/dpa/picture alliance

হাত মিলিয়েছে ডয়চে বান ও সিমেন্স মবিলিটি। জার্মানির এই দুই সংস্থা মিলে তৈরি করছে হাইড্রোজেন চালিত ফুয়েল সেল ট্রেন এবং একটি ফিলিং স্টেশন। জার্মানিতে ডিজেল ট্রেন ইঞ্জিনকে বিদায় জানিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে নতুন ইঞ্জিন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এই প্রযুক্তিতে ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। আর ডয়চে বানের হিসাব, বছরে ৩৩০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড দূষণের হাত থেকে বাঁচা যাবে। ফলে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে এই নতুন প্রযুক্তি।

জার্মানির সরকারি রেল কোম্পানি ডয়চে বান ও সিমেন্স মবিলিটি মিলে তৈরি করছে এই হাইড্রোজেন ট্রেন সেট। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হবে বিদ্যুৎ, যা দিয়ে ট্রেন চলবে। এর বাই প্রোডাক্ট হবে জল। তিন বছরের মধ্যে এই ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। তার জন্য ডয়চে বান তাদের একটি মেইনটেনেন্স শপকে হাইড্রোজেন গ্যাস স্টেশনে রূপান্তরিত করছে।

ডয়চে বানের বোর্ড সদস্য সাবিন জাসকি বলেছেন, ''এই ট্রেন হবে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব।'' আর সাধরণ ব্যাটারিকে রিচার্জ করেই ট্রেন চলানো সম্ভব হবে। জার্মানিতে প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রেন ডিজেলে চলে। কিন্তু ২০৫০ সালের মধ্যে বা সম্ভব হলে তার আগে রেল কোম্পানি কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে দায়বদ্ধ। জাসকি বলেছেন, ''আমরা আর পেট্রোল-জাত জ্বালানি ব্যবহার করব ন। সে জন্যই আমরা ঠিক করেছি, ডিজেলে কোনো ট্রেন চলবে না।''

ডয়চে বান চাইছে, ২০৩৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে চলে যেতে। কারণ, ওই সময়ের মধ্যে দেশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেয়া হবে।

সরকারও হাইড্রোজেন ভিত্তিক জ্বালানি তৈরির জন্য ৯০০ কোটি ইউরো দিচ্ছে। এখন অবশ্য গ্যাস ও কয়লা থেকেই হাইড্রোজেন নেয়া হয়। কিন্তু আগামী দিনে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেনের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন পরিবহন ও অন্য ক্ষেত্রে পেট্রোল, ডিজেল বা পেট্রোল-জাত পদার্থের ব্যবহারও অনেক কমবে।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)