হংকংয়ের করোনা নীতিতে প্লাস্টিকের পাহাড়
করোনা ঠেকাতে হংকং শূন্য-কোভিড নীতি মেনে চলছে৷ সে কারণে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণও অনেক বেড়ে গেছে৷
শূন্য-কোভিড নীতি
করোনা ঠেকাতে হংকং শূন্য-কোভিড নীতি মেনে চলছে৷ এর মানে হচ্ছে, শুধুমাত্র হংকংয়ের বাসিন্দা যারা বিদেশ ছিলেন তাদের হংকংয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে৷ এবং প্লেন থেকে নামার পর সবাইকে ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টিন হোটেলে থাকতে হচ্ছে৷ সোমবার হংকংয়ে ৬১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷
প্লাস্টিকের ব্যবহার
হংকংয়ের উদ্যোক্তা ক্লেমেন্টিন ভোন সম্প্রতি হংকংয়ে পৌঁছে কোয়ারান্টিন হোটেলে ছিলেন৷ সেখান থেকে তিনি রয়টার্সকে জানান, হোটেলের সব কর্মীরা পিপিই পরে থাকেন৷ এছাড়া ফোন, রিমোট কন্ট্রোলসহ সবকিছুই সেলোফেনে জড়ানো থাকে৷ প্রতিবেলার খাবারও প্লাস্টিকে জড়ানো থাকে৷
প্লাস্টিক বর্জ্য
সরকারি হিসেবে বলছে হংকংয়ে বর্তমানে প্রতিদিন ২,৩০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে৷ এর মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ বর্জ্য রিসাইক্লিং করা হচ্ছে৷ বাকিটা আবর্জনার স্তূপে ফেলা হচ্ছে৷
পরিবেশের ক্ষতি
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন দ্য গ্রিন আর্থের এডউইন লাও বলেন, করোনা ঠেকাতে হংকংয়ের নীতি পরিবেশ সম্পর্কে তাদের সচেতনতার অভাবের প্রমাণ৷ তিনি কোয়ারান্টিন হোটেলের সব প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
কোয়ারান্টিন হোটেলগুলোও অপচয়ের বিষয়
কাউন্সিলর পল সিমারমান বলছেন, কোয়ারান্টিন হোটেলগুলো তাড়াহুড়ো করে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ ফলে ভবন নির্মাণের নিয়ম মানা হয়নি৷ তাই কাজ শেষে এগুলো বসবাসের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব নয়৷ এটা অপচয় বলে মনে করছেন তিনি৷