1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুবনেশ্বরে পার্থ

২৫ জুলাই ২০২২

রোববার বিশেষ আদালত ভুবনেশ্বর এইমসে পার্থের স্বাস্থ্য পরীাক্ষার নির্দেশ দেয়। সোমবার ভোরে তাকে তোলা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে।

https://p.dw.com/p/4EaMz
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল এসএসকেএম-এর উপর ভরসা রাখতে পারছে না আদালতও। রোববার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভুবনেশ্বর এইমসে গিয়ে পার্থের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই মতো রোববার ভোর সাতটা নাগাদ এসএসকেএম থেকে এসএসসি মামলায় অভিযুক্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিমানবন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। বিচারপতির নির্দেশ, ভুবনেশ্বর এইমসে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। তারা পার্থের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিকেল তিনটের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেবেন।

শনিবার ভোরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বস্তুত, শুক্রবার সকালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। তার বিরুদ্ধে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। সেখান থেকে তাকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়।

নিম্ন আদালত পার্থের দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু পার্থের আইনজীবীরা শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির আবেদন জানান। আদালত তাতে রাজি হয়। কিন্তু ইডি এই রায়ের বিরুদ্ধে শনিবার রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানায়। ইডির বক্তব্য, ভর্তি করতেই হলে এইমসে ভর্তি করা হোক পার্থকে। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। কল্যাণী এইমসে তাকে ভর্তির কথা বলা হয়। কিন্তু বিচারপতি জানান, কল্যাণী এইমসের নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ফলে সেখানে পার্থকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বরং তাকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরেই ভুবনেশ্বরে ডাক্তারদের বিশেষ দল তৈরি করে পরীক্ষার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

এদিন শুনানির সময় পার্থের আইনজীবীরা বিচারপতিকে বলেন, এসএসকেএম প্রভাবশালীদের জন্য নিরাপদ জায়গায় পরিণত হয়েছে। মদন মিত্র এবং অনুব্রত মন্ডলের নামও বলেছেন তিনি। এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র। সিবিআইযের তলব পেয়ে অনুব্রত মন্ডলও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বস্তুত, এর আগেও হাইকোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালে প্রভাবশালীদের ভর্তি হওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিল।

এদিকে সোমবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আদালতে হাজির হওয়ার কথা। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে ভিডিওকলে পার্থের শুনানি হতে পারে। এদিকে আদালতে রোববার ইডি জানিয়েছিল, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ইডি অফিসারদের কার্যত হুমকি দিয়েছে, তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি বার বার বিতর্কে উঠে এসেছে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রভাবশালীদের ভর্তি হওয়ার প্রসঙ্গটি। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে এমনিতেই আসনসংখ্যা বাড়ন্ত। মাসের পর মাস মানুষ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করেন একটি বেড পাওয়ার জন্য। সেখানে কেন প্রভাবশালীরা দিনের পর দিন হাসপাতালের বেড আটকে রাখবেন? হাইকোর্টের মন্তব্যে আনন্দিত ডাক্তারদের একাংশ।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)