স্বামী কাটলেন স্ত্রীর হাত
স্ত্রীর অপরাধ, তিনি একটি সরকারি চাকুরি পেয়েছিলেন। তার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে বলে স্ত্রীর হাতই কেটে দিলেন স্বামী। বর্ধমানের ঘটনা।
ভালোবেসে বিয়ে
কেতুগ্রামের রেণু খাতুন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সরিফুল শেখকে। আড়াই বছর ধরে প্রেম করার পর বিয়ে হয়েছিল তাদের। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গত পাঁচ বছর ধরে সংসার করছিলেন রেণু।
চাকরিতে আপত্তি
সরিফুল শেখ কিছুতেই বউকে চাকরি করতে দিতে চাইতেন না। তার ধারণা ছিল, চাকরি করলেই বউ তাকে ফেলে চাকরির জায়গায় চলে যাবে। রেণু তাকে অনেক বুঝিয়েছিল। কিন্তু সে বোঝেনি। রেণুর অভিযোগ, বন্ধুরাই তাকে এই সব মাথায় ঢুকিয়েছিল। রেণু নার্স হিসাবে সরকারি চাকরি পায়। এই নিয়োগপত্র পাওয়ার পরই সরিফুল বলতে থাকে চাকরি করা যাবে না। উপরের ছবিটি রেণুর বাড়ির।
হাত কেটে নিল স্বামী
গত শনিবার শ্বশুরবাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল রেণু। গভীর রাতে তার স্বামী বন্ধুদের নিয়ে ঘরে ঢোকে। রেণুর মুখ বালিশ দিয়ে চেপে ধরে। তারপর ডান হাতের কব্জিতে কোপ মেরে রেণুর হাত কেটে দেয় বলে অভিযোগ। তারপর তাকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। সরিফুল এখন পলাতক।
কৃত্রিম হাত লাগাতে হবে
রেণুর চিকিৎসা করছেন চিকিৎসক পি মিশ্র। তার হাতে অপারেশনও করতে হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে বড় প্রশ্ন, রেণু কীভাবে আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। চিকিৎসকরা বলছেন, তার একটা উপায় কৃত্রিম হাত লাগানো। উপরের ছবিটি চিকিৎসক পি মিশ্রের।
স্বামীর বাবা-মা গ্রেপ্তার
রেণুর বর পালিয়েছেন। তার বাবা-মা-ও মঙ্গলবার বাসে চেপে কোথাও চলে যাচ্ছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাদের তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা চলছে, সরিফুল শেখ কোথায় পালিয়েছে। রেণুর সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। রেণু আর শ্বশুরবাড়িতে যেতে চান না। তিনি বলেছেন, স্বামী সরিফুল শেখ সহ দোষী সকলের শাস্তি চান। তিনি চান, তার চাকরি যেন থাকে। তিনি যেন সুস্থ হয়ে যেন চাকরিতে যোগ দিতে পারেন।