স্পেনের প্রাচীন শহর টলেডো
মধ্য স্পেনের একটি পাহাড়ি প্রাচীন শহর টলেডো৷ রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এ শহরটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানও৷ ছবিঘরে দেখুন বিস্তারিত৷
তিন সংস্কৃতির শহর
টলেডো একটি প্রাচীন শহর৷ বিভিন্ন যুগে এ এলাকাটিতে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের আধিপত্য থাকায় একে তিন সংস্কৃতির শহরও বলা হয়৷ প্রাচীন অনেক নিদর্শন অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত আছে জায়গাটিতে৷
পর্যটন আকর্ষণ
টলেডো শহর জুড়ে দেখা মিলবে নানান প্রাচীন নিদর্শন৷ এর মধ্যে কিছু হলো সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল, সান্তা ক্রুজ মিউজিয়াম, এল গ্রেকো মিউজিয়াম, ক্রিস্টো দে লা লজ, সিনানগোগা ডেল ট্র্যান্সিটো, অ্যালকাজর প্রাসাদ উল্লেখযোগ্য৷
বিশ্ব ঐতিহ্য
টলেডো শহরের প্রাচীন স্থাপনা সমূহ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত৷ ১৯৮৬ সালে এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
রেল স্টেশন
টলেডো রেল স্টেশনটিই বলে দেয় এ শহরটি স্থাপত্যের৷ এটি তৈরি হয়েছিল ১৯১৬ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে৷ স্টেশনের মূল হল ঘরটির কারুকাজ দেখার মতো৷
প্রাচীন মসজিদ
ক্রিস্টো দে লা লজ নামের এ স্থাপনাটি একটি প্রাচীন মসজিদ৷ ৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছিল৷ তবে দ্বাদশ শতকে শহরটি খ্রিস্টানদের অধিকারে আসার পর এর একাংশ গির্জায় রূপান্তর করা হয়৷ তবে মসজিদের অংশটি এখনো সংরক্ষিত আছে৷
টলেডো ক্যাথিড্রাল
টলেডো ক্যাথিড্রাল টলেডোর প্রাচীন ক্যাথলিক গির্জা৷ ১২২৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এ গির্জাটি৷ এর অনুমপ স্থাপত্য শৈলি আজও হাজারো পর্যটককে মুগ্ধ করে৷ গির্জাটির দেয়ালজুড়ে রয়েছে অসংখ্য পাথরের মূর্তি৷
অ্যালকাজর প্রাসাদ
টলোডো শহরের মাঝে অবস্থিত প্রাচীন প্রাসাদ৷ বর্তমানে আর্মি মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এ প্রাসাদটি অনেক দূর থেকে দেখা যায়৷
পাহাড়ি নদী
টলেডো শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সুন্দর নদী ‘টাগুস’৷ প্রায় ১০০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর ৭১৬ কিলোমিটারই স্পেনে, ৪৭ কিলোমিটার স্পেন-পর্তুগাল সিমান্তে এবং ২৭৫ কিলোমিটার পর্তুগালে৷
আলকান্তারা সেতু
ট্রাজেনস ব্রিজ নামেও পরিচিত৷ টলেডো শহরের টাগুস নদীর উপরে পাথরের তৈরি এ সেতুটি নির্মিত হয়েছল ১০৪ থেকে ১০৬ খ্রিস্টাব্দে৷
পর্যটকের ভিড়
প্রাচীন স্থাপনাসমৃদ্ধ টলোডো শহর দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন জায়গাটিতে৷
পর্যটক বাহন
টলেডো শহরকে ঘুরে দেখার জন্য আছে ট্যুরিস্ট বাস আর ছোট ছোট ট্রেন৷ মাত্র ৫ থেকে ১০ ইউরো খরচে এসব বাহনে চড়ে টলেডোর প্রাচীন স্থাপনাগুলো কম সময়েই ঘুরে দেখা যায়৷