1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেনে চমকপ্রদ ভবন ডিজাইন করছেন দুই স্থপতি

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়িঘর তৈরির প্রবণতা বাড়ছে৷ স্পেনের দুই স্থপতি চমকপ্রদ সব ভবন ডিজাইন করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছেন৷ বসতবাড়ির পাশাপাশি মিউজিয়াম ও অন্যান্য পাবলিক বিল্ডিংও তৈরি করছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/3YUzT
Dahan House Villa mit Pool
ছবি: picture alliance/dpa/Arcaid

স্পেনের উত্তরে পামপ্লোনা শহরের উপকণ্ঠে সিমেন্টের তৈরি এক বিশালাকার জ্যামিতিক ভবন শোভা পাচ্ছে৷ ‘পেরেদা পেরেস আর্কিটেক্টস' গোষ্ঠীর  দুই স্থপতি সেটি সৃষ্টি করেছেন৷ অস্কার পেরেস তাঁদেরই একজন৷

মালিকের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়িটির পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ দুই কন্যাসহ এক দম্পতি এবং তাদের দুটি কুকুর সেখানে থাকে৷ রান্নাঘর ও বসার ঘর মিলিয়ে একটি বড় ও খোলামেলা জায়গা রয়েছে৷ বসার ঘরের পাশে রয়েছে একফালি কাঠের উপর একটি বাথরুম৷ বাগানের দিকে মেঝে পর্যন্ত দীর্ঘ জানালা শোভা পাচ্ছে৷ অস্কার বলেন, ‘‘এই জমির উপর থেকে যে দৃশ্য দেখা যায়, সেটি আমাদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল৷ সেই দৃশ্যকে কেন্দ্র করেই আমরা ডিজাইন করতে চেয়েছিলাম৷ সেই দৃশ্য অনুযায়ী বসার ঘরটিকে গড়ে তুলেছিলাম৷''

এই দুই স্থপতি এমন সৃষ্টিকর্মের জন্য পরিচিত৷ স্পষ্ট আকার-আকৃতির সঙ্গে হাতে গোনা কিছু উপাদান দিয়েই তাঁরা সাধারণত বাড়িঘর তৈরি করেন৷

২০০৫ সালে তাঁরা পামপ্লোনা শহরে নিজেদের দপ্তর খোলেন৷ তাঁদের ডিজাইনের ভিত্তিতে তৈরি বাড়িঘরে সব সময়ে আলো-আঁধারির খেলা দেখা যায়৷ যেমন পামপ্লোনা শহরের একটি কিন্ডারগার্টেন৷ ২০১৩ সালে তাঁরা এই ভবনের জন্য স্পেনের স্থাপত্য পুরস্কার পেয়েছেন৷ অস্কার পেরেস বুঝিয়ে বললেন, ‘‘বাইরে থেকে এই সিঁড়ি দেখলে সকেটের মতো মনে হবে৷ এই সকেট বাড়ির উঠান ও বাইরের পথকে আলাদা করছে এবংবাইরের আলো  ফিল্টার করছে৷ এভাবে একটি করিডোর সৃষ্টি হয়েছে, যে পথ দিয়ে শিশুরা ভবনের বাইরে যেতে পারে৷''

এই দুই স্থপতি স্পেনের উত্তর পশ্চিমে খিখন শহরে মিউজিয়ামের নতুন ভবন তৈরির প্রকল্পে হাত দিয়েছেন৷ শহরের পুরানো অংশের স্থাপত্যশৈলির ভিজলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে ভাসমান ভবনত্তিতে আধুনিক স্থাপত্য সৃষ্টি করাই এ ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ৷

পামপ্লোনা শহরের পুরস্কার-বিজয়ী সিমেন্টের ভবনটির ক্ষেত্রেও সেটির অবস্থানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷ অস্কার পেরেস মনে করেন, ‘‘আমাদের সব সৃষ্টিকর্মেই অবস্থান সবচেয়ে বেশি প্রেরণা জোগায়৷ তাই আমরা ভবনের উপরের অংশকে পাতলা সিমেন্টের আবরণ হিসেবে পরিকল্পনা করেছি৷ সেটির ছাদ হুবহু জমির গ্রেডিয়েন্ট ঢাল অনুযায়ী তৈরি৷''

এছাড়া স্থপতিরা পাহাড়ের ঢাল কাজে লাগিয়ে বাড়িটিকে দুটি অংশে ভাগ করেছেন৷ উপরের অংশে বসার ঘর ও রান্নাঘর রয়েছে৷ মালিকদের অনুরোধে নীচে শয়নকক্ষ আলাদা রাখা হয়েছে৷ ছোট একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে সেখানে পৌঁছানো যায়৷ অস্কার বলেন, ‘‘আমরা এখন বাড়ির নীচের অংশে অ্যাট্রিয়ামে রয়েছি৷ এখানেই শয়নকক্ষগুলির কেন্দ্রস্থল৷ অ্যাট্রিয়ামের পাশে শিশুদের খেলার জায়গা৷''

বাড়ির নীচের তলার সামনের দিকেও বড় বড় জানালা রয়েছে৷ এভাবে বাসিন্দারা শয়নকক্ষ ও শিশুদের ঘর থেকে প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন৷ অস্কার পেরেস বলেন, ‘‘এই অংশ থেকে বাড়ির দুটি স্তর ভালোভাবে চেনা যায়৷ নীচে অন্দরমহল, উপরে সবার জন্য উন্মুক্ত জায়গা৷ বাড়িটি পাহাড়ের ঢালের সঙ্গে কীভাবে সামঞ্জস্য বজায় রাখছে, সেটাও এখান থেকে দেখা যায়৷''

অসাধারণ সব বসতবাড়ি ও পাবলিক বিল্ডিং তৈরি করে কার্লোস পেরেদা ও অস্কার পেরেস স্পেনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন৷ ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে তাঁরা অবশ্যই একটি গির্জা তৈরি করতে চান৷

মাটিয়াস ফন ভেডেলস্টেট/এসবি