1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেকট্রাম মামলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী অপসারিত

১৯ নভেম্বর ২০১০

একদিকে স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি ইস্যুতে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি, অন্যদিকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংসদ যেন যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় আজ৷ স্পেকট্রাম মামলায় প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী অপসারিত৷

https://p.dw.com/p/QDam
Congress, leader, Manmohan Singh, New Delhi, India, স্পেকট্রাম, মামলা, ভারত, প্রধানমন্ত্রী, আইনজীবী
চাপের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং (ফাইল ছবি)ছবি: Fotoagentur UNI

শুক্রবার নিয়ে সাতদিন ভারতে সংসদের কাজকর্ম অচল৷ একদিকে টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবিতে বিরোধী পক্ষ যেমন চাপ বাড়াচ্ছে সরকারের ওপর, তেমনি পাল্টা চাপ দিচ্ছে বিজেপি শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস ও তার শরিক দল৷ সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সরকার ও বিরোধীপক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে অধ্যক্ষের আসনের সামনে জড়ো হয়৷ কংগ্রেস সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ড৷ তাতে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা চাই৷ হৈচৈ চলতে থাকলে অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয় সোমবার পর্যন্ত৷

সরকারি জমি বণ্টনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের মোকাবিলা করতে কী কৌশল নেয়া হবে তাই নিয়ে আজ বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠক৷ ডেকে পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে৷ বিজেপি মহলে গুঞ্জন ইয়েদুরাপ্পাকে সরে যেতে বলা হতে পারে৷ পরিস্থিতি আঁচ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে ও মেয়ে তাঁদের জমি ফেরৎ দেবার কথা বলেছেন৷ দুর্নীতি সম্পর্কে বিজেপির অবস্থান নিয়ে বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া বলেন, বিজেপি তার দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন৷ কোন মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ পেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল৷

এদিকে টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার বিরুদ্ধে মামলা করার আর্জির জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী কেন দীর্ঘ সময় নিলেন, তার জবাব হলফনামার আকারে আদালতে পেশ করতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট অস্বস্তিতে৷ সু্প্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করছিলেন ভারতের সলিসিটর জেনারেল৷ তিনি ঠিকমত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ সমর্থন করতে না পারায়, তাঁর জায়গায় আনা হয় অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই ভাহানাবতিকে৷ যদিও আইনমন্ত্রী ভিরাপ্পা মইলি তা অস্বীকার করে বলেন, আগে সলিসিটর জেনারেল ছিলেন অস্থায়ীভাবে এখন পাকাপাকিভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল৷

তিনিই প্রধানমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা পেশ করবেন আদালতে তাতে থাকবে দেরি হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য৷ এ রাজার বিরুদ্ধে মামলা করার আর্জি জানিয়ে জনতা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চেয়েছিলেন৷ কারণ কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগে৷ কিন্ত ১৬ মাসে তার জবাব না পাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান