1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
২১ জানুয়ারি ২০২০

লোকসভার স্পিকারের হাতে কি কোনো দলত্যাগীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা থাকা উচিত? প্রশ্নটা তুলে দিলো সুপ্রিম কোর্ট৷ তাঁরা বলেছে, সংসদ ভেবে দেখুক এবং সিদ্ধান্ত নিক, স্পিকার, নাকি কোনো স্থায়ী সংস্থার হাতে এর দায়িত্ব থাকবে৷

https://p.dw.com/p/3WXol
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri

কোনও দলের হয়ে জিতে আসার পর বা কিছুদিনের মধ্য়েই দলবদল আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলে চলে যাওয়ার প্রবণতা সম্প্রতি খুবই বেড়ে গিয়েছে সাংসদ-বিধায়কদের৷ ওই সাংসদ বা বিধায়ককে বরখাস্ত করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী হলেন স্পিকার বা অধ্যক্ষ৷ কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় লাগিয়ে দিচ্ছেন৷ অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেনই না৷ একের পর এক রাজ্যে এই ঘটনা ঘটছে৷ এই অবস্থায় মণিপুরের একটা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, চার সপ্তাহের মধ্য়ে স্পিকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এই মামলাতেই সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, স্পিকারের হাতে আদৌ এই ক্ষমতা থাকা উচিত কি না, তা ভেবে দেখুক সংসদ৷  কারণ, স্পিকারও তো আদতে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত৷

লোকসভার কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''সুপ্রিম কোর্ট একেবারে ঠিক কথা বলেছে৷ অবশ্যই এটা বিচার করা উচিত৷ তবে বলে নেওয়া দরকার, কিছু বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্ত নিয়েই  প্রশ্ন উঠছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্থায়ী ও স্বাধীন কোনও সংস্থার হাতে এই ভার দেওয়া উচিত৷'' সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণও সেটাই। সংসদ বিবেচনা করে দেখুক, স্পিকারের কাছে সাংসদ ও বিধায়ককে বহিস্কারের ভার থাকবে, না কি, তা কোনও স্বাধীন স্থায়ী কমিটি বা সংস্থাকে দেওয়া হবে৷

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভেও ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''আমি এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাই৷ স্পিকাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সংসদ বিবেচনা করে দেখুক৷ এটা কংগ্রেস ও বিজেপির বিষয় নয়৷ আমি আশা করছি, সরকার এটা মানবে৷''

বিধায়ককেনাবেচা নিয়ে অভিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই আছে। কর্ণাটক, গোয়া, মণিপুর সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে৷ এ ব্যাপারে স্পিকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন বারেবারে উঠেছে৷ বর্তমান ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট একে তো স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, বিষয়টি নিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সংসদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে৷  এর ফলে বিতর্ক ও আলোচনা হবে৷ সব দল তার রায় দেবে৷ সরকারের ওপর অন্তত একটা চাপ তৈরি হবে৷