স্ট্রোক শনাক্ত করার বিশেষ পদ্ধতি ‘ফাস্ট’
স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে৷ তাই চিকিৎসকরা স্ট্রোক ‘দ্রুত’ শনাক্ত করার খুবই কার্যকর পদ্ধতি বের করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘ফাস্ট’৷
এফ ফর ‘ফেস’ বা মুখমণ্ডল
স্ট্রোক যে কোনো জায়গায় যে কোনো পরিস্থিতিতেই হতে পারে৷ এক্ষেত্রে খুবই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, তবে নেওয়ার আগে যে লক্ষণগুলোর দিকে দ্রুত নজর দিতে হবে, সেগুলো হচ্ছে, ‘ফাস্ট’ অর্থাৎ এফএএসটি৷ এফএএসটি-র প্রথম বর্ণ এফ দিয়ে বোঝানো হয়েছে ‘ফেস’, অর্থাৎ মুখমণ্ডল বা চেহারা৷ বা এখানে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর মুখ ঠিক আছে কিনা বা মুখ বেঁকে গেছে বা যাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে৷
এ-আর্মস
‘এ’ - আর্মস অর্থাৎ হাত৷ এই জটিল রোগকে এড়াতে পরীক্ষা করে দেখুন রোগী তার দুই হাত দুটো নিজেই ওপরে তুলতে পারে কি না ৷ কিংবা পারলেও কিছুক্ষণ ওপরে ধরে রাখতে পারছে কিনা, সে দিকেও লক্ষ্য রাখুন৷
স্পিচ
এস - ‘স্পিচ’ বা কথা বলা৷ ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন রোগী কথা বলার সময় তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা বা রোগীর কথা আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন কিনা৷
টি-তে টাইম
‘টি’ - তে ‘টাইম’ বা সময়৷ রোগীর মধ্যে এই তিনটি লক্ষণের যে কোনো একটি দেখা গেলে আর সময় নষ্ট না করে তাকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে৷ কারণ এক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত ‘মহা মূল্যবান’৷
হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ
বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই হাসপাতালে নিউরোলজির জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে যাবেন৷ তা না হলে হয়তো রোগীকে বাঁচানো কঠিন হতে পারে, কিংবা রোগী বেঁচে থাকলেও বড় কোনো ক্ষতি রয়ে যেতে পারে৷ তাই ‘ফাস্ট’ বিষয়টি বিশেষভাবে মনে রাখা উচিত বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন৷ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে জার্মানির ‘লেয়া’ ম্যাগাজিন৷