1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্ট্রেসের মোকাবিলা করতে বৌদ্ধ রীতিতে ধ্যান

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আধুনিক শহুরে জীবনযাত্রার মানসিক চাপ অনেক মানুষকে কাবু করে ফেলছে৷ মেডিটেশন বা ধ্যান সেই বোঝা কিছুটা হালকা করতে পারে৷ জার্মানিতে বৌদ্ধ রীতিতে এমন সব ধ্যান পেশাজীবী মানুষকে সাহায্য করছে৷

https://p.dw.com/p/3DYbY
Museum Rietberg, Zürich | Ausstellung Nächster Halt Nirvana | Mönche Myanmar
ছবি: DW/R. Fulker

মনাস্ট্রিতে দিন শুরু হয় আধ ঘণ্টা নীরবে ধ্যান করে৷ কনরাড বিলিৎস্কি-র মতো মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা বেশ অপ্রত্যাশিত৷ পেশায় তিনি একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ৷ কনরাড বলেন, ‘‘ভীষণ দ্রুত গতিতে কাজ করতে হয়৷ অনেক তথ্য আসে৷ তার মধ্য থেকে বড় অংশ গ্রহণ করে বাকিটা বর্জন করতে হয়৷ মগজ সবসময় ব্যস্ত থাকে৷ বলতে গেলে আমি নিজের মধ্যে থাকি না৷''

তিন বছর ধরে তিনি নিয়মিত এখানে এসে গোটা বিশ্বের সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে আত্মসংযমের অনুশীলন করেন৷ বসার পর নিজের শরীরকে সক্রিয় করে তুলতে হয়৷ শি গং-এর লক্ষ্যে ওয়ার্ম-আপ৷ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ও শরীরকে একই সূত্রে বাঁধতে হয়৷

প্রাতরাশের সময় নীরব থাকতে হয়৷ খাবার সময় অন্য সব কিছু ভুলে শুধু খাবার প্রতি মনোনিবেশ করতে হয়৷ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ফাপ শা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘একবার এক নারী এখানে এসে বলেছিলেন, তাঁর কাছে প্রতিদিন ভোরে ওঠা ও ধ্যান করার সময় নেই৷ তারপর তিনি ভাবলেন, প্রতিদিন সকালে তিনি এক কাপ চা খান৷ চা খাওয়ার সময় ধ্যান করা যায়৷ অর্থাৎ চায়ের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷ তাই তিনি এখন বসে ধ্যান করার বদলে চা নিয়ে ধ্যান করতে পারেন৷''

এখানে ধর্ম বিষয়ে যাতে শিক্ষা না দেওয়া হয়, ইউরোপীয় ফলিত বৌদ্ধধর্ম ইনস্টিটিউট সে দিকে নজর রাখে৷ নিজেকে আবিষ্কার ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে হারিয়ে না ফেলাই মূল লক্ষ্য৷ ফাপ শা বলেন, ‘‘অনেক রকম পথ রয়েছে৷ এত রকম স্মার্টফোন ও অ্যাপ রয়েছে, যা আমাদের সে বিষয়ে মনে করিয়ে দিতে পারে৷ প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর আমরা ঘণ্টা বাজার শব্দ শুনতে পারি৷ সেটা আমাদের ও আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসকে মনে করিয়ে দেয় যে শরীরের মধ্যে ফিরে যেতে হবে৷ আমরা যেন বুঝতে পারি,যে আমাদের শরীর টানটান উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে এবং আমরা নিজেদের শরীর ছেড়ে দিতে পারি৷''

মনাস্ট্রিতে সত্যি একজন হাতে করে ঘণ্টা বাজান৷ সেই শব্দ পরের প্রশিক্ষণের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ এবারের বিষয় হাঁটার সময় ধ্যান৷ ফাপ শা বলেন, ‘‘পা ফেলা ও নিঃশ্বাস ফেলা সম্পর্কে সচেতন হতে হয়৷ মনে করতে হয় আমরা ধরিত্রী মায়ের উপর পা ফেলছি৷''

ধীরে ধরে চলার এই ছন্দ দেখতে অদ্ভুত লাগে বটে, কিন্তু স্ট্রেস-ভরা দিনের শেষে বিশ্রাম নিতে এই পদ্ধতি কনরাড-কে সাহায্য করে৷ কনরাড বিলিৎস্কি বলেন, ‘‘প্রথমে আমি সন্ধ্যার দিকে এমনওয়াকিং মেডিটেশন করার চেষ্টা করেছি৷তারপর খেয়াল হলো, কীভাবে আমার মধ্যে তাজা ভাব প্রবেশ করছে, মৃদু হাসি, হালকা বোধ আসছে৷ খুব ভালো ফল পাচ্ছি৷''

সবাই যে যার পছন্দসই পথে অগ্রসর হচ্ছেন৷

জোসেফিন কারোল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান