1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন

১২ জুলাই ২০২২

আমরা যখন একই সময়ে অনেক কাজ করার চেষ্টা করি, তখন চাপ অনুভব করি৷ অল্প সময়ের জন্য চাপে থাকা কোনো সমস্যা নয়৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেসে থাকলে ভাস্কুলার প্রদাহ, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়৷

https://p.dw.com/p/4Dz1q
Meditation am Meer
ছবি: Colourbox

এছাড়া স্ট্রেস শরীরের এমন সব কাজে বাধা তৈরি করে, যা হয়ত জীবন-মরণ সমস্যা তৈরি করে না, যেমন হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা যৌন আকাঙ্খা৷

সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. ইয়ান কালবিৎসার জানান, দীর্ঘ দিন স্ট্রেসে থাকলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি তৈরি হতে পারে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর একটি বিষয়৷ এছাড়া অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারসহ বার্ন আউট পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷

চাপ পরিস্থিতিতে সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলে চাপের মাত্রা কমানো যায়৷ যেমন: শ্বাস নিন! কমপক্ষে তিনবার ভেতরে, তিনবার বাইরে৷ এই কথা হয়ত আপনি আগেও শুনেছেন৷ কিন্তু শুনতে সাধারণ মনে হলেও এটি খুব কার্যকর৷ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মেলানি হ্যুমেলগেন বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যে, গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও শ্বাস ছাড়া রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দনের উপর প্রভাব ফেলে৷ এক, দুই বা তিনবার গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার পরই সেটা দেখা যায়৷''

স্ট্রেস থেকে একেবারে মুক্তি পেতে চাইলে রিলাক্স করার কিছু উপায় শেখা যেতে পারে৷ যেমন ‘প্রোগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেসন'৷ বিভিন্ন পেশিকে একসঙ্গে বেঁধে তারপর শিথিল করা৷ এভাবে আমরা বুঝতে পারি, কতটা স্ট্রেসে আছি৷ এবং এভাবে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া যায়৷

সুস্থ জীবনের জন্য মেডিটেশন খুব দরকার

রিলাক্সেসন প্রশিক্ষক আনিয়া টিসব্যুর্গার বলেন, ‘‘শরীরের প্রতিটি পেশী আসলে আপনাকে বলে দেয়, কখন তার ভালো অনুভূতি হচ্ছে না৷ আপনার যদি ব্যথা থাকে, আপনি যদি বাঁকা হয়ে বসেন, যদি কাঁধ ঝাঁকান বা দাঁত চেপে থাকেন, তাহলে আপনার সংকেত পাওয়ার কথা৷ কিন্তু যখন আমরা খুব চাপ কিংবা চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকি, তখন ক্রমাগত এই সংকেতগুলি উপেক্ষা করি৷ কারণ হয়ত আমাদের সময় নেই, অর্থাৎ আমরা এতই ব্যস্ত থাকি যে, আমরা এসব অভ্যন্তরীণ সংকেত উপেক্ষা করি৷''

দ্রুত করা যায় এমন একটি ব্যায়াম: মুষ্টি আঁকড়ে ধরুন কিংবা পা টেনে ধরুন৷ তারপর ছেড়ে দিন!

চীনারা এক হাজারেরও বেশি বছর আগে পেশী নমনীয় করার ব্যয়াম এবং মেডিটেশন শুরু করেছিল৷ একে তারা ‘চি গং' বলত৷ চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এটি৷ এর মূল নীতি ছিল, শরীর নড়াচড়ার মাধ্যমে মনের ভেতরের অবস্থা প্রকাশ করা৷

চি গং-এর সময় নড়াচড়া করার কারণে সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়, হৃৎপিণ্ড ও পেশী আরও ভালভাবে কাজ করে এবং সুখী হরমোন ডোপামিন নিঃসৃত হয়৷ এটা চাপের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে৷

তাছাড়া চি গং অনেকটা মেডিটেশনের মতো৷

যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন তাদের মস্তিস্কে এমআরআই করে দেখা গেছে, মস্তিস্কের যে অংশে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কাজ করে সেই অ্যামিগডালায় কার্যক্রম কম চলছে৷ একই সময়ে যেখানে আত্মসচেতনতা ও সহানুভূতি কাজ করে মস্তিস্কের সেই হিপ্পোক্যাম্পাস অংশ বেশি সক্রিয় আছে৷

রিলাক্সেসন টেকনিক আর মেডিটেশন স্ট্রেস কমানোয় কার্যকর হতে পারে৷

জিবিলি রোটে/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য