স্টার ওয়ার্স-এর দশটি অবিস্মরণীয় সংলাপ
ফিল্ম মাত্রেই তার বিশেষ বিশেষ চরিত্রের বিশেষ বিশেষ মন্তব্য, যা চিরকাল মনে থাকে৷ নতুন স্টার ওয়ার্স দেখবার আগে পুরনো সংলাপগুলো একবার ঝালিয়ে নিন৷
‘হোয়াট এ পিস অফ জাঙ্ক!’
‘এ আবার কি জঞ্জাল!’ হান সোলো (অভিনেতা: হ্যারিসন ফোর্ড) হলেন স্মাগলার ও কনট্র্যাক্টর৷ ‘স্টার ওয়ার্স: এপিসোড সেভেন – দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স’ ছবিতে গ্যালাকটিক এম্পায়ার’এর বিরুদ্ধে রেবেল অ্যালায়েন্স’এর সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা নেতৃস্থানীয়৷ হান সোলো ‘মিলেন্নিয়াম ফ্যালকন’ নামধারী মহাকাশযানটি জেতেন একটি বাজিতে এবং সেটিকে মেরামত করে নেন৷ যানটিকে প্রথমবার দেখে কিন্তু লিউক স্কাইওয়াকার বিশেষ মুগ্ধ হননি৷
‘হোয়েন আই লেফ্ট ইউ, আই ওয়াজ দ্য লার্নার; নাও আই অ্যাম দ্য মাস্টার’
‘তোমার কাছ থেকে যখন যাই, তখন আমি ছিলাম সাগরেদ; আজ আমি নিজেই ওস্তাদ’ – কথাগুলো বলেছিলেন ডার্থ ভেডার, ওবি-ওয়ানকে, ‘এ নিউ হোপ’ ছবিতে৷ ফিল্মটি ছিল প্রথম স্টার ওয়ার্স ট্রিলজির প্রথম ছবি৷ সূচনায় জেডাই হিসেবে প্রশিক্ষণ পাবার পর ডার্থ ভেডার ‘ডার্ক সাইড’-এ ফিরে আসেন৷ পরে জানা যায় যে তিনি লিউক স্কাইওয়াকার ও প্রিন্সেস লেয়ার জনক৷
‘নো, আয়’ম ইওর ফাদার’
সম্ভবত স্টার ওয়ার্সের সবচেয়ে পরিচিত সংলাপ৷ ক্লাউড সিটিতে লিউক স্কাইওয়াকার ডার্থ ভেডার-এর সঙ্গে লড়াই করছেন৷ লিউক ঘোষণা করলেন: ‘তুমি আমার বাবা’কে মেরেছো!’ ডার্থ জবাব দিলেন: ‘না লিউক, আমিই তোমার বাবা৷’
‘মে দ্য ফোর্স বি উইথ ইউ’
হয়ত এটাই স্টার ওয়ার্সের সবচেয়ে স্মরণীয় উদ্ধৃতি৷ স্টার ওয়ার্সের চরিত্ররা পরস্পরকে অভিবাদন জানান ‘শুভশক্তি যেন তোমার সঙ্গে থাকে’, এই কথাগুলি দিয়ে৷ মে মাসের চার তারিখ আবার সরকারিভাবে স্টার ওয়ার্স ডে: কাজেই অনেকে বলেন – কিংবা ভাবেন – ‘মে দ্য ফোর্থ বি উইথ ইউ’৷ আর এই ‘ফোর্স’ বা শক্তি ছাড়া স্টার ওয়ার্স কল্পনাই করা যায় না৷
‘হেল্প মি, ওবি-ওয়ন কেনোবি, ইউ’র মাই ওনলি হোপ’
প্রিন্সেস লেয়ার অনেকটা সময় কাটে বন্দিদশায়৷ অপরদিকে তিনি মাঝেমধ্যে হলোগ্রাম হবার সুযোগ পান৷ রাজকন্যা লেয়ার বাবা ছিলেন একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা৷ সেই বাবার দোহাই দিয়ে লেয়া ওবি-ওয়ান-এর সাহায্য চাইছেন: ‘তুমি আমার একমাত্র আশা’৷ মিষ্টি আর’টু-ডি’টু লেয়ার বার্তা পরিবেশন করছে৷
‘দ্যাটস নো মুন, ইট’স এ স্পেস স্টেশন’
‘ওটা কোনো চাঁদ নয়, ওটা একটা মহাকাশকেন্দ্র’৷ সাইফাই ফিল্ম মানেই কোথাও না কথাও, কোনো না কোনো ভাবে বিপর্যয় আসন্ন! লিউক, হান, লেয়া, সকলেই যে কোনো সময় বিস্ফোরণে, বা ‘আলোকতরবারি’-র আঘাতে, বা চিরকালের মতো জমে বরফ হয়ে প্রাণ হারাতে পারেন৷ লিউক-এর জেডাই গুরু ওবি-ওায়ন কেনোবি তাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু কিছু শেখান৷ ‘দ্যাটস নো মুন’-এ যে ‘মুন’-এর কথা বলা হচ্ছে, সেটি আসলে ইম্পিরিয়াল ডেথ স্টার৷
‘দিজ আর নট দ্য ড্রয়েডস ইউ আর লুকিং ফর’
‘তোমরা এই সব ড্রয়েড-দের খোঁজ করছ না’৷ ওবি-ওয়ন কেনোবি’র মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেডাইদের অন্যদের চেতনার উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা আছে৷ ইম্পিরিয়াল স্টর্মট্রুপার-রা যখন সি-থ্রিপিও আর আর’টু-ডি’টু’র খোঁজ করছে, তখন ওবি-ওয়ান তাদের খোঁজ চালিয়ে যেতে বললেন৷
‘আর’ন্ট ইউ এ লিটল শর্ট ফর এ স্টর্মট্রুপার?’
লিউক স্কাইওয়াকার যখন ডেথ স্টার থেকে প্রিন্সেস লেয়া’কে উদ্ধার করার জন্য আসেন, ঐ অস্বস্তিকর উর্দি ধারণ করে, তখন লেইয়া দেখেই বুঝতে পারেন, এ ঠিক স্টর্মট্রুপার হতেই পারে না, কেননা স্টর্মট্রুপারদের গড় উচ্চতা হল ১৮৩ সেন্টিমিটার, যেখানে লিউক চরিত্রের অভিনেতা মার্ক হ্যামিল হলেন পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চি বা ১৭৫ সেন্টিমিটার৷
‘জাজ মি বাই মাই সাইজ, ডু ইউ?’
‘আমার সাইজ দেখে ভাবছ?’ লেয়া এর আগেও লিউক’কে ঠাট্টা করেছেন তার উচ্চতা নিয়ে৷ তরুণ জেডাই লিউক-এর দৃশ্যত এখনও অনেক কিছু শেখার আছে৷ মাত্র ৬৬ সেন্টিমিটার উচ্চতার ‘এলিয়েন’ ইয়োডা লিউক’-কে মনে করিয়ে দিল, ‘ফোর্স’-এর সাহায্য থাকলে সব কিছু করা যায়৷
‘দ্য ফোর্স ইজ স্ট্রং ইন মাই ফ্যামিলি’
সেই ‘ফোর্স’ বা শক্তি তার রক্তে; তার বাবার রক্তে, তার নিজের রক্তে, তার বোনের রক্তে – বোন লেয়াকে বলেছিল লিউক স্কাইওয়াকার ১৯৮৩ সালের ‘রিটার্ন অফ দ্য ইয়েডি’ ছবিতে৷ সংলাপটা আবার শোনা গেছে স্টার ওয়ার্সের সাত নম্বর এপিসোডের দ্বিতীয় টিজারে – এমনকি ১৯৮৩ সালের সেই রেকর্ডিং থেকেই৷ ট্রু স্টার ওয়ার্স ফ্যানদের শিহরণ!