1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কটল্যান্ডের সোয়েটার আবার হালফ্যাশন

শ্যারন ব্যারকাল/এসবি১ মে ২০১৫

বিশ্বায়নের এই যুগে অতীতের অনেক পরিচিত ব্র্যান্ড হারিয়ে যাচ্ছে৷ স্কটল্যান্ডের এক কোম্পানি নানা চরাই-উতরাই পেরিয়ে বাজারে আবার নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1FId2
Still aus DW euromaxx 23.2.15 Pringle of Scotland
ছবি: DW

প্রায় দু'শ বছর ধরে ব্রিটেনের ‘প্রিংগল অফ স্কটল্যান্ড' ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত৷ তবে সাফল্য সব সময় সঙ্গে থাকেনি৷ বিখ্যাত সার্পেন্টাইন গ্যালারিতে এক প্রদর্শনীতে অতীতের দিকে ফিরে তাকানো হচ্ছে৷

১৮১৫ সালে স্কটল্যান্ডে রবার্ট প্রিংগল এই সংস্থা চালু করেন৷ প্রথমে শুধু পশমের অন্তর্বাস তৈরি হতো৷ তারপর এলো ফাইন উলের সোয়েটার৷ সেই যুগে এটা ছিল এক নতুনত্ব৷ প্রদর্শনীর কিউরেটর অ্যালিস্টেয়ার ও'নিল বলেন, ‘‘এই ডিজাইন দেখে অনেকেই হয়তো সে সময়ে চমকে যেত৷ কারণ দেখলে মনে হতো, শুধু অন্তর্বাস পরে বেরিয়েছে৷ ত্বকের উপর শুধু এই একটি স্তরই থাকতো৷''

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘প্রিংগল অফ স্কটল্যান্ড' গোটা বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠে৷ সোফিয়া লোরেন-এর মতো তারকাও তাদের পোশাক পরতেন৷ অথবা মোনাকোর কাউন্টেস গ্রাসিয়া পাট্রিসিয়া৷ ও'নিল বলেন, ‘‘বিপণনের বিষয়টিকে তখন বেশ গুরুত্ব দেয়া হতো৷ বিল রজার নামের অত্যন্ত বুদ্ধিমান এক মার্কেটিং ডায়রেক্টর স্কটল্যান্ডের অভিনেত্রীদের মডেল হিসেবে কাজে লাগাতে শুরু করেন৷ চলচ্চিত্রের সেট ও বাইরেও তাঁরা সেগুলি পরতে দায়বদ্ধ ছিলেন৷ বাকি অভিনেত্রীদের মনেও এমন সাধ জাগতে থাকে৷''

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শুরু থেকেই এই ব্র্যান্ডের অনুরাগী৷ ১৯৪৭ সালে প্রথম প্রিংগল সোয়েটার উপহার হিসেবে পাওয়ার পর থেকেই প্রতি বছর তিনি সেখান থেকে নতুন পোশাক অর্ডার করেন৷ তাঁর বিশেষ পছন্দ প্রিংগল-এর উদ্ভাবন ‘টুইনসেট' – যা নিট উল সোয়েটার ও কার্ডিগানের মিশ্রণ৷ আরেকটি উদ্ভাবন ‘আর্জাইল ডিজাইন'৷ ডিজাইনার মাসিমো নিকোসিয়া বলেন, ‘‘আর্জাইল আসলে এক দুর্ঘটনার ফসল৷ আসলে চৌকো এক ধরনের প্যাটার্ন তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল, যা সে সময়কার প্রযুক্তির নাগালের বাইরে ছিল৷ ফলে চৌকোর বদলে আকারটি অনেকটা হীরার মতো দেখতে হয়৷ তাই নাম হয় আর্জাইল৷''

‘প্রিংগল অফ স্কটল্যান্ড'-এর সাফল্যের রেশ গত শতকের আশির দশকের শেষে ম্লান হয়ে ওঠে৷ যদিও এই ব্র্যান্ড ততদিনে গল্ফ-এর মতো কিছু ক্রীড়াক্ষেত্রে বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল৷ ও'নিল বলেন, ‘‘পণ্যের মানের পতন ঘটতে শুরু করে এবং তারা অন্যদেরও লাইসেন্স দিতে শুরু করে৷ শুধু প্রিংগল নয়, সে সময়ে অনেক কোম্পানি এমন ব্যবসায়িক কৌশল অবলম্বন করতো৷ তারা মোজা ও অন্তর্বাসের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল৷''

এর পরিণাম ভালো হয়নি৷ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত লোকসানের মাত্রা বাড়তে থাকে, অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যায়৷ প্রিংগল-কে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হয়৷ তারপর আবার আদি লগ্নের ফর্মুলাই ফিরে আসে – স্কটল্যান্ড ও সোয়েটার৷ ২০১০ সাল থেকে স্কটিশ অভিনেত্রী টিলডা সুইনটন এই ব্র্যান্ডের প্রধান মডেল৷ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জগতে প্রিংগল আবার সম্মান ফিরে পায়৷ জার্মানির ‘হারপার্স বাজার'-এর কারোলিনে লেমব্লে বলেন, ‘‘কোনো ব্র্যান্ডের একশ' বছরের বেশি ইতিহাস থাকলে বাড়তি সুবিধা হয় বৈকি৷ কারণ তাদের অনেক উপকরণ নিয়ে কাজের সুযোগ থাকে৷ এবং অন্য অনেক ব্র্যান্ডের মতো তারাও যদি এমন নতুন ডিজাইনার নিয়োগ করে, যিনি এই ব্র্যান্ডের ডিএনএ সত্যি বোঝেন, তখন সেই ব্র্যান্ড আজকের যুগেরও উপযোগী হয়ে ওঠে৷''

‘প্রিংগল অফ স্কটল্যান্ড'-এর এই নতুন কৌশল আর্থিক সাফল্যও পাচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য-পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি৷ তবে ব্র্যান্ড হিসেবে তারা অবশ্যই দৃষ্টি কাড়ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য