স্কটল্যান্ড ভ্রমণের সাত কারণ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সাহসী মানুষ! স্কটরা ইউরোপের পক্ষে এবং পর্যটকদের ভালোবাসেন৷ দেশটি ভ্রমণের অনেক কারণ রয়েছে, সেখান থেকে সাতটি এখানে উল্লেখ করা হলো৷
এডিনবরা
স্কটল্যান্ডের রাজধানী ১,৩০০ বছরের পুরনো এবং সংস্কৃতি ও ইতিহাসে পরিপূর্ণ৷ দুর্গ, পুরান শহরের কেন্দ্র এবং অনেক মিউজিয়াম এডিনবরাকে পর্যটকদের কাছে স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানের মর্যাদা দিয়েছে৷
সংসদ
এডিনবরাতে ঘোরাঘুরির সময় এই অত্যাধুনিক ভবনটি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ ২০০৪ সাল থেকে স্কটিশ পার্লামেন্ট এখানেই বসে৷ ২৮ মার্চ যখন ব্রিটিশ সরকার ব্রেক্সিটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়, তখন সেখানকার অধিকাংশ সদস্য স্কটদের স্বাধীনতার পক্ষে এক নতুন গণভোটের প্রতি সমর্থন জানান৷
হাইল্যান্ডস
পর্বতমালা আর বিস্তীর্ণ খোলা জায়গার দেখা মেলে স্কটল্যান্ডের হাইল্যান্ডসে৷ অতীতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়া অনেক স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই অঞ্চল৷ বর্তমানে হাইকারদের জনপ্রিয় গন্তব্য হাইল্যান্ডস৷
হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস
যারা হাইকিংয়ে আগ্রহী নন, তাঁরা জ্যাকোবাইট স্ট্রিম ট্রেনে (যেটি হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস নামে বেশি পরিচিত) ভ্রমণ করতে পারেন৷ হ্যারি পটার সিরিজের ছবিগুলো এই ঐতিহ্যবাহী ট্রেন ও হাইল্যান্ডসের সৌন্দর্যকে জগৎজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে৷
হাইল্যান্ড গেমস
প্রায় ১০০ রকমের হাইল্যান্ড গেমস আছে, যা যুগের পর যুগ ধরে স্কটরা চর্চা করছেন৷ অনেক পুরুষ নিজের পুরুষত্ব জাহির করতে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এসব গেমে অংশ নেন৷
ব্লেয়ার ক্যাসেল
বলা হয়ে থাকে স্কটল্যান্ডে মানুষের চেয়ে ক্যাসেলের সংখ্যা বেশি৷ আর ব্লেয়ার ক্যাসেল হচ্ছে সেগুলো মধ্যে অন্যতম সুন্দর দুর্গ৷ গত কয়েক শতক ধরে এটিকে নিয়মিত সংস্কার করা হচ্ছে৷ ১২৬৯ সালে দুর্গটি তৈরি করা হয়েছিল৷
স্কটিশ হুইস্কি
স্কটল্যান্ডের জাতীয় পানীয় এটি, দেশটির মানুষ যাকে বলে ‘জীবনের পানি’৷ স্কটল্যান্ডে একশো’র বেশি হুইস্কি ভাঁটিখানা রয়েছে আর বিভিন্ন ব্লেন্ডের হুইস্কির তালিকাও বেশ লম্বা৷