1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে চলচ্চিত্র: নতুন উদ্যম, পুরোনো বাধা

১৫ মার্চ ২০২১

সৌদি আরবে ৩৫ বছর নিষিদ্ধ ছিল চলচ্চিত্র৷ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর একদিকে যেমন দ্রুত প্রসারের সম্ভাবনা জেগেছে, অন্যদিকে সেন্সরশিপ ও আরো কিছু বাধায় মন্থর হচ্ছে চলার গতি৷

https://p.dw.com/p/3qeIC
ছবি: Amr Nabil/AP/dpa/picture alliance

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন ২০১৬ সালে৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার গতিপথ নির্ধারণের সেই ঘোষণার আওতায় চলচ্চিত্র শিল্পকেও গুরুত্ব দেয়া হয়৷ রক্ষণশীলতা থেকে উদার, আধুনিকতার পথে যাত্রার অঙ্গিকার জন্ম দেয় চলচ্চিত্র খাতকে ঘিরে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা৷

২০১৮ সালে চলচ্চিত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা  তুলে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়৷ সেই থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নতুন যাত্রা শুরু করেছে চলচ্চিত্র শিল্প৷ আরব চলচ্চিত্র শিল্পের বিশেষজ্ঞ, লেবাননের তথ্যচিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক জাইনা স্ফের ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মহামারি শুরুর আগে প্রতি শুক্রবার শপিং মলগুলোতে থিয়েটারে মুভি দেখতে আসা মানুষদের ভিড় জমতো৷’’

গত ৩৫ বছরে নিষেধাজ্ঞার কারণে হারিয়ে যেতে বসা চলচ্চিত্র শিল্প নিষেধের বেড়া সরতেই জেগে ওঠে পূর্ণ উৎসাহে৷ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার চার মাসের মধ্যেই রিয়াদে খুলে যায় প্রথম সিনেমা হলের দরজা৷ ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সেই প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় ‘পিঙ্ক প্যান্থার’৷ নারী এবং পুরুষদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা ছিল, আবার একসঙ্গে বসে চলচ্চিত্র উপভোগের সুযোগও ছিল সেখানে৷ কোনো আসনই খালি ছিল না৷

২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ৩৫০টি সিনেমা হল এবং ২৫০০ মুভি স্ক্রিন তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের সরকার৷ এ কাজ দেখভাল করবে জেনারেল কমিশন ফর অডিওভিজ্যুয়েল মিডিয়া (জিসিএএম)৷ শুধু যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থাই করা হচ্ছে, তা নয়৷ চলচ্চিত্রকে এক বিলিয়ন ডলারের একটা শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সরকার৷ এছাড়া ঘরে ঘরে চলচ্চিত্রকে পৌঁছে দিতে বিনোদন খাতে জিডিপির শতকরা তিন ভাগ ব্যয়কে ২০৩০ সালের মধ্যে বাড়িয়ে শতকরা ছয় ভাগ করতে চায় রাজতান্ত্রিক দেশটির সরকার৷

তবে সৌদি আরবের ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও এখনো স্বচ্ছন্দে চলার সুযোগ পাচ্ছে না চলচ্চিত্র৷ ৪২২ জন চলচ্চিত্রপ্রেমী, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি সমীক্ষায় ৪৩ ভাগ মানুষই বলেছেন বাণিজ্যিক বিনিয়োগের ঘাটতি চলচ্চিত্রের বিকাশের পথে বড় অন্তরায়৷ সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৭৭ ভাগ মানুষ মনে করেন, অনলাইনে দেখানো হলে চলচ্চিত্রকে জাগিয়ে তোলার উদ্যোগ সফল হবে৷ এছাড়া কঠোর সেন্সরশিপকে চলচ্চিত্র শিল্পের কাঙ্খিত অগ্রগতির পথে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেকে৷

জেনিফার হলাইস/এসিবি

গতবছর মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...