1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোলার নৌকায় বিশ্বভ্রমণ

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

সৌর শক্তি ব্যবহারের অনেক সুযোগ রয়েছে৷ কিন্তু আমরা নাকি এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করছি না৷ এই রকমটিই মনে করছেন সুইজারল্যান্ডের সোলার অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান৷

https://p.dw.com/p/PPpo
২৭ সেপ্টম্বর মরক্কো থেকে রওনা হয়েছে সোলার নৌকাটিছবি: Picture alliance/dpa

সেকথা প্রমাণ করতেই একজন সহকর্মীকে নিয়ে নৌকাতে চড়ে ইতোমধ্যেই বিশ্ব ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি৷ হ্যাঁ, নৌকাটি অবশ্যই চলছে সৌর শক্তিতে৷

৩১ মিটার লম্বা, ১৫ মিটার চওড়া৷ ওজন ৬০ টন এবং বহন করছে ১৩ টন ব্যাটারি৷ সৌরশক্তিতে চালিত এত বড় নৌকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান এই নৌকাটির নাম দিয়েছেন ‘টুরানর'৷ গত সোমবার মরক্কোর এক নৌবন্দর থেকে রওনা হয়েছে সৌরশক্তি চালিত তাঁর এই নৌকাটি৷ তিনি আশা করছেন, ১৪০ দিনের মধ্যেই নৌকাটি দিয়ে পাড়ি দিতে পারবেন ৪০ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার পথ৷ আর এর মধ্য দিয়ে রাফায়েল দেখাতে চান, প্রকৃতিতে এখনও এমন সব শক্তি রয়েছে যার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব৷

রাফায়েল ডয়চে ভেলে'কে বলেছেন,‘‘ বিশ্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে এমন সব প্রযুক্তি আমাদের কাছেই আছে৷ আমরা আশা করছি, আমরা তা প্রয়োগ করে দেখাতে পারবো৷''

BdT Solar Katamaran Boot Schiff
নৌকাটি তৈরি করা হয়েছে জার্মানির কিল বন্দরেছবি: AP

নৌকাটি তৈরি করা হয়েছে জার্মানির কিল বন্দরে৷ এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো৷ আর এটি তৈরি করা তখনই সম্ভব হয়েছে যখন সোলার ব্যবসায়ী ইমো স্ট্র্যোয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে তিনি এই নৌকাটি কিনে নেবেন এবং যখন তিনি এর নির্মাণ খরচ দিয়েছিলেন৷

রাফায়েল ডোমইয়ান ও তার সমুদ্রযাত্রার সঙ্গী ফরাসি জেরার দাবোভিল পরিকল্পনা করেছেন, ৭ দশমিক ৫ নট গতিতে বিষুবরেখা বরাবর তারা নৌ-তরীটি নিয়ে ভাসবেন৷ তাঁদের প্রথম লক্ষ্য অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া৷ তারপর পানামা খাল হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে যাওয়া৷ সেখান থেকে তাঁরা যাবেন ভারত মহাসাগরে৷ সুয়েজ খাল হয়ে ভূ-মধ্যসাগরে ফিরে আসার ইচ্ছা রয়েছে তাঁদের৷

শুধু সাগর পাড়ি দেওয়া নয়, নৌকায় চড়ে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রচার চালানোর ইচ্ছাও রয়েছে তাঁদের৷ বিশেষ করে এটি যখন মিয়ামি, কানকুন, সানফ্রান্সিসকো, সিডনি, সিঙ্গাপুর এবং আবুধাবি'র মতো বড় বড় বন্দরগুলোতে গিয়ে ভিড়বে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন