সোলেইমানির জানাযায় জনতার এক আওয়াজ, ‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’
কাসিম সোলেইমানির জানাযায় লাখো মানুষের ঢল নামে৷ সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা৷ সোলেইমানির কন্যা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কালো দিন অপেক্ষা করছে৷ জনতার ঢলে ওঠে, ‘‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’’ আওয়াজ৷
জানাযায় জনস্রোত
শুক্রবার এক ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসিম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী৷ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে ইরান সরকার৷ ইরাক থেকে সোলেইমানির মৃতদেহ আনার পর সোমবার রাজধানী তেহরানে প্রথম জানাযা হয়৷ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাযায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের অংশ নেয়ার কথা বলেছে৷
ডুকরে কেঁদে ওঠেন খামেনি
তিনদিনের শোক শেষে অনুষ্ঠিত জেনারেল সোলেইমানির প্রথম জানাযা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি৷সোলেইমানির কফিনের ওপর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ এ সময় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান এসমাইল কা’নিসহ ইরানের অন্য অনেক শীর্ষ নেতাও খামেনির পাশে ছিলেন৷
সোলেইমানির কন্যার হুমকি
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সোলেইমানির কন্যা জয়নাব সোলেইমানি বলেন, ‘‘এখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে সেনাসদস্যরা আছেন তাদের পরিবার সন্তানের মৃত্যুর খবরের অপেক্ষায় থাকবেন৷’’ তার বাবাকে হত্যার নির্দেশ দেয়া ডনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘উন্মাদ ট্রাম্প, ভেবো না আমার বাবা শহিদ হওয়ায় সব শেষ হয়ে গেছে৷’’ তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্র ইসরায়েলের জন্য ‘কালো দিন’ অপেক্ষা করছে৷
‘যুক্তরাষ্ট্রকে তাড়াবো’
তেহরানে জানাযা শুরুর আগে রাষ্ট্রীয় বেতারকে সোলেইমানির মৃত্যুর পর কুর্দস বাহিনীর দায়িত্ব নেয়া কা’নিও প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের বাহিনী নিয়ে শহিদ সোলেইমানির দেখানো পথেই এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি৷ এ অঞ্চল থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে তাড়াবো, কারণ, এটাই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ৷’’
‘‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’’
জানাযায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন৷ জনস্রোত থেকে বারবার ‘‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’’ ওঠে৷
সোলেইমানির স্মৃতি
জানাযায় উপস্থিত জনতার হাতে আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির হাত থেকে সোলেইমানির জোলফাঘর, অর্থাৎ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ স্বীকৃতি নেয়ার ছবি৷
সেনাপ্রধানের কান্না
সোলেইমানির কফিনের ওপর নুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি৷
সেনাসদস্যদের হাতেও সোলেইমানির ছবি
আর্মি ক্যাডেটদের হাতেও দেখা যায় সোলেইমানির ছবি৷
‘আমরা সবাই সোলেইমানি’
জানাযায় উপস্থিত অনেকের হাতেই দেখা যায়, ‘আমরা সবাই সোলেইমানি’ লেখা পোস্টার৷
পরের জানাযা কেরমানে
মঙ্গলবার জেনারেল সোলেইমানির দ্বিতীয় জানাযা হবে তার নিজের শহর কেরমান-এ৷